পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালনের পেছনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সক্রিয়। মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর অবদানকে সাধারণ জনতার আত্মত্যাগের সঙ্গে একীভূত করে দেখা হয় এ দিবসটিতে।
Advertisement
সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লা সেনানিবাসে আয়োজিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালের এ দিনে বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করে। আশির দশকের মাঝামাঝি থেকে সম্মিলিতভাবে ২১ নভেম্বরকে ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে ২৫ মার্চ সেনা, ১০ ডিসেম্বর নৌ এবং ২৮ সেপ্টেম্বর বিমান বাহিনী দিবস আলাদাভাবে পালন করা হতো। পরে ২১ নভেম্বরের তাৎপর্য সমুন্নত রাখতে সম্মিলিত দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল- এ দেশের মানুষের অর্থনেতিক মুক্তি, এ দেশ বিশ্ব মানচিত্রে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, সারা বিশ্বের মানুষ বাংলাদেশকে দেখে ঈর্ষা করবে, অনুকরণ করবে। জাতির পিতার এ স্বপ্ন বাস্তবায়নে তার উত্তরাধিকার জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
Advertisement
বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্বের প্রশংসা করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর পেশাদারিত্ব কর্মদক্ষতার পরিচিতি দেশের সীমা ছাড়িয়ে এখন আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।
তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে এদেশের আপামর মুক্তিকামী জনতার সঙ্গে একাত্ম হয়ে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যবৃন্দ সম্মিলিতভাবে মৃত্যুর শপথে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। দেশ মাতৃকার স্বাধীনতা অর্জন ও বাঙালি জাতির অস্তিত্ব রক্ষার্থে সশস্ত্র বাহিনীর ভূমিকা অনস্বীকার্য।
অনুষ্ঠানে আ ক ম বাহাউদ্দিন এমপি, অধ্যাপক নুরুল ইসলাম মিলন এমপি, আমির হোসেন এমপি, বেগম ফজিলাতুননেছা এমপি, র আ ম ওবায়দুল মুক্তাদির চৌধুরী এমপি, ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি এম তাজুল ইসলাম এমপি, ড. সামছুল হক ভূঁইয়া এমপি, অ্যাডভোকেট নূরজাহান বেগম এমপি, এ কে এম শাহজাহান কামাল এমপি, এ এইচ এম ইব্রাহিম এমপি, মোরশেদ আলম ভূঁইয়া এমপি, নিজাম উদ্দিন হাজারী এমপি, হাজী রহিম উল্লাহ এমপি, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. জাহাংগীর আলম, পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
কামাল উদ্দিন/আরএআর/আইআই
Advertisement