উত্তর কোরিয়াকে ‘সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্র’ হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণা দেয়ার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপান। সোমবার উ. কোরিয়াকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্রের তালিকার্ভুক্তি করার পরদিন মঙ্গলবার ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে দ. কোরিয়া এবং জাপান বলছে, পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ করতে উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ বাড়াবে ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্ত।
Advertisement
উ. কোরিয়াকে সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক ঘোষণা করায় দেশটির ওপর আরো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারবে যুক্তরাষ্ট্র। পিয়ংইয়ং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে বলেছেন, ‘আমি ট্রাম্পের এ ঘোষণাকে স্বাগত এবং সমর্থন জানাচ্ছি। উত্তর কোরিয়ার ওপর এটি চাপ বাড়াবে।’
দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, ‘উত্তর কোরিয়াকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ করতে এই সিদ্ধান্ত ভূমিকা রাখবে। এদিকে, উ. কোরিয়া পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি কখনোই বাদ দেবে না বলে অঙ্গীকার করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হামলা থেকে দেশকে সুরক্ষায় এ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে পিয়ংইয়ং।
Advertisement
দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৮ হাজার ৫০০ সৈন্য রয়েছে। ১৯৫০-৫৩ সালের কোরীয় যুদ্ধের পর থেকে সিউলে এই সেনা মোতায়েন রেখেছে ওয়াশিংটন। তবে উত্তর কোরিয়ায় কোনো ধরনের হামলা পরিকল্পনার অভিযোগ অস্বীকার করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লু ক্যাং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ সিদ্ধান্তের ওপর নজর রাখছে চীন। তিনি বলেন, বর্তমানে কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি অত্যন্ত জটিল এবং স্পর্শকাতর।
‘আমরা এখনো আশা করছি, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ এ পরিস্থিতি লাঘবে আরো বেশি পদক্ষেপ নেবেন। যাতে উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যা সমাধানে সমঝোতা, সংলাপ ও পরামর্শ সঠিক পথে চালাতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের জন্য সহায়ক হয়।’
১২ দিনের এশিয়া সফর শেষে দেশে ফেরার এক সপ্তাহ পর উত্তর কোরিয়াকে ফের সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্রের তালিকাভূক্ত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচির লাগাম টানাই এর মূল লক্ষ্য। হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, পারমাণবিক হামলার হুমকি ছাড়াও উত্তর কোরিয়া বিদেশে গুপ্তহত্যাসহ বারবার আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন দিয়ে আসছে। অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলও ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়েছেন।
Advertisement
তিনি বলেন, উত্তর কোরিয়া থেকে বৈশ্বিক অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন কিম জং উন। সাইবার ক্রাইম, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান এবং পারমাণবিক হামলার হুমকির মাধ্যমে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা তৈরি করছেন তিনি। উত্তর কোরিয়া ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষক রাষ্ট্রের এ তালিকায় আরো তিনটি দেশ রয়েছে। এ দেশগুলো হলো ইরান, সিরিয়া ও সুদান।
সূত্র : রয়টার্স।
এসআইএস/আইআই