আন্তর্জাতিক বাজারের তুলনায় দেশে জ্বালানি তেলের দাম অনেক বেশি। সরকার যদি জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে সমন্বয় করে তাহলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না বলে মন্তব্য করেছেন ভোক্তাদের সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান। মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
Advertisement
তিনি বলেন, সরকার বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে। বিদ্যুতের সঙ্গে সব খাত জড়িত। তাই বিদ্যুতের দাম বাড়ালে সব কিছুর দাম বেড়ে যায়। এখন চালসহ নিত্য পণ্যের দাম অনেক বেশি। এমন সময়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ালে সব কিছুর মূল্য আরো বেড়ে যাবে। তাই কোনোভাবেই বিদ্যুতের দাম বাড়ানো যাবে না।
গোলাম রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তুলনায় দেশে জ্বালানি তেলের দাম অনেক বেশি। তা কমিয়ে সমন্বয় প্রয়োজন। দেশের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা সভা সেমিনারে প্রমাণ করেছেন যে জ্বালানি তেলের দাম কমালে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রয়োজন হবে না। তাই বিদ্যুতের দাম না বাড়িয়ে জ্বালানির দাম সমন্বয়ের দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে গৃহকর বৃদ্ধি বাতিল, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি তেলের দাম কমানো, নিত্য ব্যবহার্য পণ্যের অসহনীয় দামবৃদ্ধি প্রতিরোধ এবং বাড়িভাড়া নিয়ন্ত্রণ কমিশন গঠনের দাবি করা হয়।
Advertisement
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক, কলামিস্ট এবং গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ ও নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন প্রমুখ।
এবার বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বিতরণ কোম্পানিগুলোর কাছে পাইকারি বিক্রির ক্ষেত্রে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম ৭২ পয়সা (প্রায় ১৫ শতাংশ) বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। আর বিভিন্ন বিতরণ কোম্পানি গ্রাহক পর্যায়ে ৬ থেকে সাড়ে ১৪ শতাংশ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।
বিতরণ কোম্পানিগুলোর দাবি, প্রতিবারই পাইকারির তুলনায় খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ানো হয়েছে কম। ফলে তাদের পক্ষে কোম্পানি চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে।
এসআই/এআরএস/জেআইএম
Advertisement