আইন-আদালত

শাম্মী হত্যা : ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসককে হাইকোর্টে তলব

রাজধানীর কল্যাণপুরে শামিমা লাইলা আরজুমান্না খান শাম্মী হত্যা মামলার ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক ডা. সোহেল মাহমুদকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ৩ ডিসেম্বর তাকে হাইকোর্টে স্বশরীরে হাজির হয়ে ময়নাতদন্তের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

মামলার কেস ডকেট পর্যালোচনা করে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। আদালতে আজ আইনজীবী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুরশীদ আলম খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ।

এর আগে, গত ৭ নভেম্বর শাম্মী হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নওশের আলীকে স্ব-প্রণোদিতভাবে তলব করেন হাইকোর্ট।

আদালতের তলবে আজ হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন এসআই নওশের আলী। আদালত তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, যথাযথভাবে তদন্ত করেন না বলেই জনমনে সন্দেহের সৃষ্টি হয়। যার কারণে এই মামলা নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এরপর আদালত ৩ ডিসেম্বর এই মামলার পরবর্তী আদেশের জন্য দিন ধার্য রেখে নওশের আলীকেও হাইকোর্টে হাজির থাকতে বলেন।

Advertisement

গত ৫ নভেম্বর একটি জাতীয় পত্রিকায় ‘মাকে বাবা অনেক কষ্ট দিয়ে মেরেছে : তদন্ত কর্মকর্তার গড়িমসির অভিযোগ’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মহিউদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ আহমেদ। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘আমার বাবা অন্য বাসার এক কাজের মহিলাকে বিয়ে করে। মায়ের গলায় দড়ি দিয়ে বাবা তাকে মেরে ফেলে। এরপর ফ্যানে ঝুলায়। মাকে খুব কষ্ট দিয়ে মেরেছে। আপনার কাছে দড়ি আছে না? দড়ি দিয়ে আমার বাবাকে চেয়ারের সঙ্গে বাঁধবেন। তারপর মারতে মারতে মেরে ফেলবেন। কবর দেবেন না; জেলখানায় ফেলে রাখবেন। মা শাম্মী হত্যার ঘটনায় বাবার বিরুদ্ধে এভাবেই মর্মস্পর্শী কথাগুলো বলেন পাঁচ বছরের শিশু আরিয়ান।’ ৭ জুন রাতে রাজধানীর কল্যাণপুরে ভাড়া বাসায় একটি বায়িং হাউসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসেন টিটু তার স্ত্রী শামিমা লাইলা আরজুমান্না খান শাম্মীকে নির্যাতন করে হত্যা করে। পরে চিকিৎসার নামে হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ছোট ভাই মো. ফরহাদ হোসেন খান বাবু বাদী হয়ে ৮ জুন মিরপুর মডেল থানায় মামলা করেন।

এফএইচ/এআরএস/এমএস