রাজনীতি

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে সময় নেয়া দুরভিসন্ধি : মওদুদ

প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে সরকার যে সময় নিচ্ছে তা দুরভিসন্ধি কৌশল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ।

Advertisement

রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে ঢাকাস্থ ঝিনাইদহ জেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্র ফোরাম আয়োজিত বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মসিউর রহমান ও শৈলকুপা থানা বিএনপি সভাপতি আব্দুল ওহাবের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মওদুদ বলেন, প্রধান বিচারপতির পদ একদিনের জন্যও শূন্য থাকার অবকাশ নেই। কিন্তু আইনমন্ত্রী বলেছেন এটার কোনো সময়সূচি নেই। এটা ঠিক নয়। প্রধান বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে এই যে সময় নিচ্ছেন এটা দুরভিসন্ধি কৌশল। এটা আমরা যে বুঝি না তা নয়। এ প্রতিষ্ঠানকে আর ধ্বংস করবেন না। অবিলম্বে আপনাদের উচিৎ হবে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেয়া।

সাবেক এ আইনমন্ত্রী আরও বলেন, দেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ যেমন তেমনি প্রধান বিচারপতির পদ একদিনের জন্যও শূন্য থাকতে পারবে না। প্রধান বিচারপতি, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী এগুলোতে কোনো সময় নেয়া যায় না। কিন্তু আজকে দুঃখের সঙ্গে বলতে হয় প্রধান বিচারপতি এখন পর্যন্ত সরকার নিয়োগ করছে না। কেন করছে না? এটা সরকারের দুরভিসন্ধিমূলক কৌশল। নানাভাবে বিচারপতিদের ওপরে চাপ বজায় রাখতেই আজকে এ বিলম্ব তারা করছে। সেজন্য আমরা এর প্রতিবাদ জানাই এবং দাবি করি অবিলম্বে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করুন।

Advertisement

মওদুদ আহমেদ বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নস্যাৎ করেছে বর্তমান সরকার। এটা নিয়ে এখন কিছু বলার নেই। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে যে শূন্যতা, অরাজকতা বিরাজ করছে যত তাড়াতাড়ি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করা হবে তত তাড়তাড়ি এটা দূর হবে। আবার সুপ্রিম কোর্ট তার নিজের ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হবে।

সভায় প্রধান আলোচকের আলোচনায় নাগরিক সমাবেশে দেয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, গতকাল (শনিবার) প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুরু থেকেই টেলিভিশনে দেখেছি। আমি ভাবতেই পারছিলাম না প্রধানমন্ত্রী দেশের পাহাড়সম দুর্নীতি, অপশাসন, আইনের শাসনের যে নির্মম পরিহাস এ ব্যাপারে একটা কথাও বললেন না। তিনি গুম, খুন, অপহরণ নিয়েও কোনো কথা বলেননি।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ তিনি বলেন, এ সরকারের অপশাসনের বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়াতে হবে। ছাত্র রাজনীতি করতাম, যুব ও শ্রমিক রাজনীতি যারা আছেন সবাই ঘুরে দাঁড়ালেই এ সরকার পালাবার পথ পাবে না।

আয়োজক সংগঠনের সভাপতি তারিখ উজ জামান তারেকের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ড, স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আলমগীর হাসান সোহান, জিনাপের সভাপতি মিয়া মো. আনোয়ার, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।

Advertisement

এমএম/এএইচ/জেআইএম