আগামী ২৫ জুলাই থেকে সারাদেশে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তিন পর্যায়ে হালনাগাদের কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে ইসি সচিব সিরাজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার দুপুরে ইসির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক প্রেস বিফ্রিংয়ে একথা জানান তিনি।সচিব বলেন, ভোটার তালিকা আইন ২০০৯ এর ধারা ১১ এবং ভোটার তালিকা বিধিমালা ২০১২ এর ২৭ ধারা অনুযায়ী প্রতিবছর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার বিধান রয়েছে। তিনি বলেন, এবছর আমরা তিন বছরের তথ্য এক সাথে সংগ্রহ করব। ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি বা তার পূর্বে জন্মগ্রহনকারী সকল নাগরিকের তথ্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করে নিবন্ধনের আওতায় আনা হবে।এই তথ্য সংগ্রহের জন্য সারা দেশকে তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা হয়েছে। দেশে ৫১৪টি উপজেলা এবং থানা রয়েছে। একসাথে সব উপজেলা বা থানার তথ্য সংগ্রহ করতে পারি না। তাই পর্যায়ক্রমে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হবে।প্রথম পর্যায়ে ২৫ জুলাই থেকে ৯ আগষ্ট পর্যন্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এসময় ১৮৯টি উপজেলার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। আর দ্বিতীয় পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহের কাজ হবে ১৬ আগষ্ট থেকে ৩০ আগষ্ট পর্যন্ত। এসময় ১৮৩টি উপজেলার তথ্য সংগ্রহ করা হবে। আর তৃতীয় পর্যায়ে তথ্য সংগ্রহ করা হবে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এসময় ১৪১টি উপজেলার তথ্য সংগ্রহ করা হবে।এই নিবন্ধন প্রক্রিয়াও তিন পর্যায়ে হবে। প্রথম পর্যায়ের নিবন্ধনের কাজ শুরু হবে ১১ আগষ্ট থেকে পহেলা সেপ্টেম্বর থেকে। দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ ৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। আর তৃতীয় পর্যায়ের কাজ ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। ১৯৯৮ সালের পহেলা জানুয়ারি বা তার পূর্বে জন্মগ্রহণকারীরা এসময়ে নিবন্ধন করতে হবে।১৯৯৮ সালের ২ জানুয়ারি হতে ২০০০ সালের পহেলা জানুয়ারি পর্যন্ত জন্মগ্রহনকারীদের নিবন্ধনের প্রথম পর্যায়ের কাজ শুরু হবে ২২ অক্টোবর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত।দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। আর তৃতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু হবে আগামী বছরের ১৫ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুর আযহার ছুটি বা অন্য কোনো বিশেষ দিবসের ছুটি ব্যতিত সাধারণ সাপ্তাহিক ছুটির দিনে নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে।কমিশন সচিব আরো জানান, চলতি বছরের ১ এপ্রিলের ডাটাবেজ অনুযায়ী বর্তমানে দেশে ভোটারের সংখ্যা ৯ কোটি ৬২ লাখ ২৬ হাজার ৫৪২ জন। ৭২ লাখের বেশি নতুন নাগরিককে টার্গেট করে এ কাজটি শুরু করতে যাচ্ছে ইসি। সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করতে ইতিমধ্যে ১৮ সদস্যের একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।ছিটমহলবাসীদের ভোটা হওয়া সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, বিষয়টি এখনও সুরাহা হয়নি। কেবল এ সংক্রান্ত চুক্তি হয়েছে। চুক্তি বাস্তবায়ন হওয়ার আগে তাদের ভোটার হওয়ার নিয়ম নেই।সুপারভাইজারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্য সংগ্রহের নির্দেশ নিয়ে সচিব বলেন, কেউ এর ব্যতয় ঘটালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া ভোটারদেরও এ বিষয়ে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। এসময় সচিব জানান, কেউ যদি বাদ পড়েন তাহলে অনলাইনের মাধ্যমেও তথ্য দিতে পারবেন। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে প্রথমে ছবিযুক্ত ভোটার প্রণয়ন শুরু হয়। ইতিমধ্যে ২০১০, ২০১২ ও ২০১৪ সালে তালিকা হালনাগাদ হয়েছে। এ বছর চতুর্থ দফায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ হচ্ছে।এইচএস/এআরএস/আরআই
Advertisement