ভারতের পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি থেকে ঢাকায় আসার পথে যাত্রীবাহী বাসে হামলা চালিয়েছে একদল ডাকাত। অস্ত্র দেখিয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে তারা ভারতীয় নাগরিকসহ ২১ যাত্রী ও বাসের সুপারভাইজারের কাছ থেকে নগদ টাকা, মুঠোফোন ও স্বর্ণালংকার লুট করে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার মির্জাপুরের রাজাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
জানা গেছে, শ্যামলী পরিবহনের বাসটি কুড়িগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ঢাকায় ফিরছিল। বাসটির সুপারভাইজার মো. রেজা বলেন, পাঁচজন ডাকাত যাত্রীর বেশে বাসে উঠেছিলেন।
তারা বুড়িমারীর শ্যামলী কাউন্টার থেকে টিকিট কেটেছিলেন ঢাকা যাওয়ার জন্য। স্থলবন্দর থেকে ছেড়ে আসার সময় বাসটিতে একজন ভারতীয় নাগরিক ছিলেন। তার নাম মনসুর হোসেন (৩৫)। বাকি অন্যান্য পাসপোর্টধারী যাত্রীরা বাংলাদেশি।
রেজা আরও বলেন, ডাকাত দল ধারাল ছোরা দিয়ে ভয় দেখিয়ে ১৫ যাত্রীর কাছ থেকে মুঠোফোন, নারী যাত্রীর কাছ থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ ২৫ হাজার টাকা ও অন্যান্য যাত্রীর কাছ থেকে নগদ প্রায় দুই লাখ টাকার মালামাল লুট করে।
Advertisement
বাসচালক সেলিম মিয়া (৪২) বলেন, বাসটি বগুড়ার শাজাহানপুর এলাকায় অবস্থিত সেনানিবাস পার হওয়ার পর যাত্রীবেশী ডাকাত দলের তিনজন পেছন থেকে এসে তার গলায় ধারাল ছোরা ধরে। তাদের একজন চালকের আসনে বসে বাস চালায়। বাসের ভেতরের সব আলো বন্ধ করে দেয়া হয়। টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করার পর রাজাপুর এলাকায় একটি ইটখোলার কাছে বাস থামিয়ে ডাকাত দল নেমে যায়।
এ ধরনের একটি বাসে সাধারণ কাউন্টার থেকে কোনো তল্লাশি ছাড়াই কিভাবে যাত্রী উঠানো হলো সেই ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য দিতে পারেননি গাড়ির চালক ও সুপারভাইজার। রাতে ঘটনার পর গাড়িটি ঘুরে শেরপুর থানায় নিয়ে এসে ঘটনার বর্ণনা দেয়া হয়।
শেরপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি রহস্যজনক। এ কারণে বিষয়টি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আইনগত প্রক্রিয়া চলছে। গাড়ির চালক, সুপারভাইজার হেলপার ছাড়াও বুড়িমারীর শ্যামলী কাউন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্তদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। ডাকাতদলের ধরতে অভিযান শুরু করা হয়েছে।
লিমন বাসার/এএম/আইআই
Advertisement