দেশজুড়ে

সঙ্গে এলে ফখরুলকে পাশে বসাতেন কাদের

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ একই বিমানযোগে রংপুর আসার বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, একসঙ্গে আসতে পারলে ভালো লাগতো। আর কিছু না হোক, শুভেচ্ছা বিনিময়তো হতো। শুনেছি ওনার আসন আমার পিছনে ছিল। উনি এলে আমার পাশের সিটেই বসতে দিতাম। কিন্তু নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে মির্জা ফখরুল কর্মসূচি বাতিল করেছেন। শুনেছি উনি নাকি আমার পরের ফ্লাইটে এসেছেন।

Advertisement

ফেসবুকে ধর্মীয় উস্কানিমূলক পোস্ট দেয়ার অভিযোগে রংপুর সদর উপজেলার ঠাকুরপাড়ায় হিন্দুদের বাড়িতে অগ্নি সংযোগ, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে রোববার দুপুর ১২টায় একথা বলেন তিনি।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করতে একটি মহল নানাভাবে অপচেষ্টা চালাচ্ছে। যারা এমন ষড়যন্ত্র করছে তারা বোকার রাজ্যে বসবাস করছে। কেননা এসব অপকর্ম করে নির্বাচন বানচাল করা যাবে না।

তিনি বলেন, বিগত সময়ে দেশে একের পর এক যে সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা ঘটেছে তা একই সূত্রে গাঁথা। ঠাকুরপাড়ায় হামলার ঘটনায় যারা মঞ্চে এবং নেপথ্যে ছিলেন তারা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন কেউই রেহাই পাবে না।

Advertisement

হামলার ঘটনায় জেলা পরিষদের এক প্রকৌশলীর সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। কিছু লোক গ্রেফতার হয়েছে। ওই প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধেও বিভাগীয় ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পরিদর্শনে এসে পুড়ে যাওয়া প্রতিটি পরিবারকে ২৫ হাজার ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ১০ হাজার করে টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন তিনি।

এ সময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিএম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাস গুপ্তসহ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দ সঙ্গে ছিলেন।

পরে ব্রাহ্মণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সংহতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ওবায়দুল কাদের।

Advertisement

জিতু কবীর/এফএ/আইআই