দেশজুড়ে

টেকনাফ সীমান্তে ১০ কোটি টাকার ইয়াবা জব্দ : ৪০ মামলায় আটক ৩৯

সীমান্তে কঠোর নজরদারির পরও ঠেকানো যাচ্ছে না মাদক পাচার। গত জুন মাসে টেকনাফ থেকে পুলিশ-বিজিবি-কোস্টগার্ড-মাদকদ্রব্য অধিদফতর ৩ লাখ ১১ হাজার ৪শ ১৫ পিস ইয়াবা জব্দ করেছে। জব্দ করা ইয়াবার বাজার মূল্য ৯ কোটি ৭৮ লাখ ৮৫ হাজার ৭শ টাকা বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। এসব মাদক জব্দের বিপরীতে ৪০টি মামলা রুজু করা হয়েছে। এ মামলার বিপরীতে ৩৯ জনকে হাতে নাতে আটক করেছে প্রশাসন।পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পুলিশ জুন মাসে ১ লাখ ২৪ হাজার ৫শ ৮৫ পিস ইয়াবা জব্দ করে। এ ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় ১৮টি মামলা দায়ের করে তারা। ইয়াবার সঙ্গে এসময় ২৯ জনকে হাতে নাতে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের জব্দ করা ইয়াবার বাজার মূল্য প্রায় ৩ কোটি ৭৩ লক্ষ ৭৫ হাজার ৫শ টাকা। অপরদিকে, বিজিবি জওয়ানরা গেল মাসেও (প্রতি মাসের মতই) ১ লাখ ৬১ হাজার ১শ ৯৪ পিস ইয়াবা জব্দ করেছে। যার বাজার মূল্য ৪ কোটি ৮৩ লাখ ৫৮ হাজার ২শ টাকা। এসব জব্দের ঘটনায় ৬ জনকে আটক এবং ১৯টি মামলা করেছে বিজিবি। কোস্টগার্ড পুরো মাসে ১ কোটি ১১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা মূল্যের ২২ হাজার ৩শ ৬ পিস ইয়াবা জব্দ করেছে। এসময় ১টি মামলার বিপরীতে ১ জনকে আটক করা হয়। ডিবি পুলিশ জুন মাসে ৯০ লাখ টাকা মূল্যের ৩০ হাজার পিস ইয়াবাসহ ২ পাচারকারীকে আটক করে। দায়ের করা হয় ১টি মামলা। আর মাদকদ্রব্য অধিদফতর গেল মাসে ৩শ ৩০ পিস ইয়াবাসহ এক পাচারকারীকে আটক করতে সক্ষম হয়। মানবপাচারের বিষয়টি অমানবিক পরিস্থিতির সৃষ্টি করার পর প্রশাসন এটি বন্ধে চিরুনি অভিযান নিয়ে ব্যস্ত ঠিক সেসময়ে ইয়াবা পাচার আবারো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বর্তমানে লেদা ও মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রীক ইয়াবা সিন্ডিকেট মাদক ব্যবসা জমজমাট করে তুলেছে। রোহিঙ্গা নারীদের বিয়ে করে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা সেখানে ইয়াবা আস্তানা গড়ে তুলেছেন।ক্যাম্পে বসে এ সিন্ডিকেট গ্রামে-গঞ্জে পাইকারি হারে ইয়াবা সরবরাহ করছে। বর্ষা মৌসুমে সাধারণত মাদক ব্যবসায়ীরা লবণের ট্রাক, পিকআপ, সিএনজি, রিকশা ও টমটমকে বাহন হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন বলে নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র জানায়। টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান খোন্দকার জাগো নিউজকে জানান, মাদক-মানবপাচারে জড়িত কাউকে কখনো ছাড় দেয়া হয়নি। ইয়াবার বিরুদ্ধে পুলিশ জিহাদ ঘোষণা করেছে। ইয়াবা পাচার জিরো টলারেন্সে না আসা পর্যন্ত এ জিহাদ অব্যাহত থাকবে। টেকনাফ ৪২ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. আবু জার আল জাহিদ জাগো নিউজকে জানান, মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। মাদকের সঙ্গে কখনো কিছুতেই আপোষ করা হবে না। টেকনাফকে ইয়াবা মুক্ত করে ‘প্রজন্মকে বাঁচাতে’ প্রশাসনের পাশাপাশি সর্বসাধারণকেও আন্তরিক হতে হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সায়ীদ আলমগীর/এমজেড/পিআর

Advertisement