জাতীয়

পাইলট তাহমিদের তল্লাশি কার্যত বন্ধ

প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে নিখোঁজ পাইলট ফ্লাইট ল্যাফটেনেন্ট তাহমিদের তল্লাশি কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। সাগর উত্তাল থাকায় এ পরিস্তিতি সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুর্ঘটনার ৭২ ঘণ্টা পরও নিখোঁজ রয়েছেন পাইলট তাহমিদ রুম্মান।তবে তল্লাশির জন্য নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজ এবং কোস্টগার্ডের একটি জাহাজ ও তিনটি মেটাল শার্ক এখনো দুর্ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে।আর নিখোঁজ সন্তানের খোঁজে এসে এখনও বিমানবাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটিতে অপেক্ষা করছেন রুম্মানের বাবা-মা।দুর্ঘটনাস্থলে থাকা কোস্টগার্ডের পূর্ব জোনের সহকারী কমান্ডার মো.ফখরুদ্দিন জানান, বোট দিয়ে তল্লাশি চালানো যাচ্ছেনা। কাজে ব্যাঘাত হচ্ছে। তারপরও চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তিনি বলেন, নৌবাহিনী আরো অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে তল্লাশির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু  বৈরী আবহাওয়ার কারণে এবং সাগর উত্তাল থাকায় সেটা সম্ভব হচ্ছে না।দুর্ঘটনাস্থলে যাওয়া কোস্টগার্ডের উদ্ধারকারী জাহাজ সিজিএস তৌফিক ফিরে গেছে। নতুনভাবে সিজিএস তানভির উদ্ধার কাজে যুক্ত হয়েছে।নৌবাহিনীর তিনটি জাহাজের মধ্যে মধুমতি ফিরে গেছে, এসেছে অদম্য। দুর্ঘটনাস্থলে নৌবাহিনীর সুরভি এবং অতন্দ্র জাহাজও কাজ করছে।প্রসঙ্গত, গত সোমবার  সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় বিমান বাহিনীর জহুরুল হক ঘাঁটি থেকে অভ্যন্তরীণ নিয়মিত উড্ডয়নের অংশ হিসেবে এফ-৭ যুদ্ধবিমানটি উড়াল দেয়। ১১টা ১৪ মিনিটের দিকে বিমানবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সাড়ে এগারোটার দিকে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গরের ব্রাভো অ্যাংকারেজে বঙ্গোপসাগরে প্লেনটি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়।নিখোঁজ বৈমানিক তাহমিদের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারায় হাইলধর ইউনিয়নে। বাবা-মা, ভাইবোনসহ তাহমিদরা ঢাকায় বসবাস করতেন। তাহমিদ চার ভাইবোনের সবার বড়।এসকেডি/পিআর

Advertisement