জয়ের জন্য লক্ষ্য মাত্র ১৫৪ রান। ক্রিস গেইল আর ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সামনে সামনে তো এ রান একেবারেই মামুলি। আট বছর পর আবারও এক সঙ্গে ব্যাট করতে নামার পর তাদের কাছ থেকে বিধ্বংসী ব্যাটিংই আশা করেছিল গ্যালারিতে উপস্থিত দর্শকরা। কিন্তু দারুণ ব্যর্থতার পরিচয় দিলেন তারা দু’জনই।
Advertisement
একবার জীবনও পেয়েছিলেন ক্রিস গেইল। ইনিংসের প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে স্ট্রাইকে আসেন গেইল। বল করছিলেন ডান হাতি অফ স্পিনার মেহেদী হাসান। প্রথম বলেই পরাস্ত হলেন গেইল। বল গিয়ে সরাসরি আঘাত হানে তার প্যাডে। পুরো কুমিল্লা দল মিলে জোরালো আবেদন করেন। সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য আম্পায়ার প্রায় ১৫ সেকেন্ড সময় নেন। এরপর জানানলেন এটা আউট নয়। কিছুটা অবাক হলেও মেহেদী তার বোলিং মার্কে ফেরত যান।
মারমুখি গেইল আজ ছিলেন বেশ শান্ত। বিধ্বংসী কোনো ভঙ্গিই ছিল না তার মধ্যে। ধীরে ধীরে সিঙ্গেল নিয়েই খেলছেন তিনি। এমন সময় কুমিল্লার হয়ে চতুর্থ ওভারের বল করতে আসেন পাকিস্তানি রিক্রুট হাসান আলি। প্রথম বলটি উইকেটকিপারের মাথার ওপর দিয়ে খেলতে গেলে সোজা ওপরে উঠে যায়। অনেকখানি দৌড়ে প্রায় তালুবন্দি করেও বলটি ফেলে দেন লিটন কুমার দাস। তবে একটি রান ঠিকই সংগ্রহ করেন গেইল।
পরের বলেই লেগ বাই-এর সুবাদে আরও একটি রান নেন ম্যাককালাম। এরপরই টানা তিনবলে তিনটি চার মারেন গেইল। যেন জীবন ফিরে পাওয়াকে উদযাপন করছিলেন তিনি। শেষ বলেও নিলেন ২টি রান।
Advertisement
পরের ওভারে বল করতে আসেন আফগান স্পিনার রশিদ খান। রশিদ খানের ঘূর্ণিতে পুরো বোকা হয়ে এলবিডব্লির ফাঁদে পড়েন গেইল। এত যে গেইলের ওপর, তিনি সাজঘরে ফিরলেন ১৩ বলে মাত্র ১৭ রান করে। যাতে ছিল না কোনো ছক্কার মার।
এমএএন/আইএইচএস/জেআইএম