ধর্ম

রমজানে উত্তম কথার গুরুত্ব

মানুষ মনের ভাব বিনিময়ের জন্য কথা বলে। কথা বলা ছাড়া থাকতে পারে এমন খুব কমই পাওয়া যাবে। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনুল কারীমের বিভিন্ন সুরায় কথা বলার ক্ষেত্রে সংযত হয়ে কথা বলতে বলেছেন। তাইতো আমরা রমজানে ভালো ও সুন্দর সুন্দর কথায় দিন কাটাবো। বাসা-বাড়ি, অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য সর্বত্র আমরা শালীন ও সুন্দর কথার মাধ্যমে ভাব বিনিময় করব। গড়ে তুলবো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের যুগের মতো সোনালী সময়। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন।উত্তম কথা বলার ফজিলত-হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘জান্নাতের মধ্যে একটি বালাখানা রয়েছে। যার ভেতর থেকে বাইরের এবং বাইরে থেকে ভেতরের দৃশ্য দেখা যায়। এক বেদুঈন বলল, ‘হে আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম! এই বালাখানা কার জন্য? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন-যে ব্যক্তি মানুষের সাথে ভালো কথা বলে;যে ব্যক্তি অনাহারীকে খাবার দেয়;যে ব্যক্তি রোজা রাখে; এবংযে ব্যক্তি সালাত আদায় করে যখন মানুষ ঘুমিয়ে থাকে। (তিরমিজি, মুসনাদে আহমাদ, আবু ইয়ালা, মিশকাত, ইবনু কাযাইমাহ, ইবনু আবু শাইবাহ, তা’লীকুর রাগীব)।এই হাদীসের পরিভাষা অনুযায়ী আমরা পরিবার, সমাজ, তথা জীবনের সর্বক্ষেত্রে উত্তম কথা বলবো; অপরকে উত্তম কথা বলতে উৎসাহ দেবো। প্রত্যেকে প্রত্যেকের মতো করে উত্তম কথা প্রচলন করবো। তবেই আমাদের দ্বারা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের সফল বাস্তবায়ন হবে।সর্বোপরি যদি আমরা উত্তম কথা বলতে না পারি সে ক্ষেত্রে আমরা ধৈর্য্যের ধরে সর্বাবস্থায় সর্বক্ষেত্রে চুপ থাকব। কেননা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিস- হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, ‘ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহ ও আখিরাত দিবসে ঈমান রাখে সে যেন উত্তম কথা বলে, অন্যথায় চুপ থাকে।’ (মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমজি, মুসনাদে আহমদ, ইবনু মাজাহ)।অন্য বর্ণনায় রয়েছে- একদা মিকদাম রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘কী আমল করলে জান্নাতে যাওয়া যাবে?` রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, `তুমি উত্তম কথা বলো এবং মানুষকে খানা খাওয়াও।` (সিলসিলাহ সহিহাহ)। সুতরাং এই রমজানে আমরা রোজা পালনের সাথে সাথে কথা বলার ক্ষেত্রেও সুন্দর সুন্দর বাক্য বিনিময় করবো। যাতে রমজানের শিক্ষা সারা বছর আমাদের এই সুন্দর কথা বলার অভ্যাস গড়ে উঠে। আল্লাহ আমাদের নেক নিয়্যত কবুল করুন। আমীন।তথ্যসূত্র : সহিহ বুখারি, মুসলিম, জামে আত তিরমিজি, সুনানে আবু দাউদ ও ইবনু মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ, আবু ইয়ালা, মিশকাত, ইবনু কাযাইমাহ, ইবনু আবু শাইবাহ, তা’লীকুর রাগীব।জাগো নিউজ ২৪ ডটকমের সঙ্গে থাকুন। রমজান সম্পর্কিত সুন্দর সুন্দর ইসলামী আলোচনা পড়ুন। কুরআন-হাদীস মোতাবেক আমলী জিন্দেগী যাপন করে রমজানের রহমত, বরকত ও মাগফেরাত অর্জন করুন। আমীন, ছুম্মা আমীন।এইচএন/পিআর

Advertisement