২০০৮ সালে আইপিএলের প্রথম আসরে এক সঙ্গে কলকাতা নাইট রাইডার্সে নাম লিখিয়েছিলেন বিশ্বের দুই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল এবং ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। প্রথম ম্যাচেই ম্যাককালাম যে ঝড় তুলেছিলেন, তা আজও মনে আছে ক্রিকেট প্রেমীদের। দু’জন একই সঙ্গে আইপিএলে খেলেছিলেন আরও এক মৌসুম। অথ্যাৎ ২০০৯ সালে। কিন্তু বড় এই জুটির কাছ থেকে তেমন কোনো ফায়দা আদায় করতে পারেনি কলকাতার নাইট রাইডাররা।
Advertisement
এরপরই ক্রিস গেইল যোগ দেন রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে। সেখানেই মূলতঃ আইপিএলের অন্যতম বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করেন গেইল। হয়ে ওঠেন টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা। নিজেকে প্রমাণ করেন, বিশ্বের সেরা টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যান হিসেবে। অন্যদিকে ম্যাককালাম থেকে যান কলকাতায়। দলকে নেতৃত্বও দিয়েছিলেন তিনি।
বিশ্বের অন্যতম সেরা দুই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান আট বছর পর আবারও এক হয়ে গেলেন। এক করে দিলো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) অন্যতম শক্তিশালী দল রংপুর রাইডার্স। গেইল তো বিপিএলে নিয়মিতই। এবারই প্রথম বিপিএল খেলতে এলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখনও সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী এই ম্যাককালাম। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে ফেললেও খেলে যাচ্ছেন বিভিন্ন ফ্রাঞ্চাইজি টুর্নামেন্ট।
রংপুরের হয়ে খেলার জন্য আগেই এসে গিয়েছিলেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। আর দু’দিন আগে এসে পৌঁছান ক্রিস গেইল। সাতদিন বিরতি দিয়ে বিপিএলে গেইল-ম্যাককালামকে নিয়েই খেলতে নেমেছে রংপুর। আগেরদিনই গেইল বাংলাদেশের মিডিয়াকে বলে দিয়েছেন, ম্যাককালামকে সঙ্গে নিয়ে বিধ্বংসী ব্যাটিংই করতে চাই।
Advertisement
রংপুর রাইডার্স একাদশক্রিস গেইল, ব্রেন্ডন ম্যাককালাম, কুশল পেরেরা, মোহাম্মদ মিথুন, রবি বোপারা, শাহরিয়ার নাফীস, থিসারা পেরেরা, মাশরাফি বিন মর্তুজা, রুবেল হোসেন, সোহাগ গাজী এবং নাজমুল ইসলাম।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স একাদশতামিম ইকবাল, লিটন দাস, ইমরুল কায়েস, শোয়েব মালিক, জস বাটলার, মারলন স্যামুয়েলস, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, আল-আমিন হোসেন, হাসান আলি, রশিদ খান এবং মেহেদী হাসান।
আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement