দীর্ঘ ৫৪ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র এবং কিউবা আগামী ২০ জুলাই একে অপরের দেশে নতুন করে দূতাবাস চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে বুধবার কিউবার প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ট্রোর সঙ্গে চিঠি বিনিময় করেছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এদিকে, বুধবার প্রেসিডেন্ট ওবামা হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেন থেকে দেয়া ঘোষণায় বলেন,আমরা আজ যে অগ্রগতি শুরু করলাম এর ফলে কিউবা এবং যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ আর অতীতে আবদ্ধ থাকবে না। ওই দিন সকালে মার্কিন দূত জেফরি ডি লুরেন্টিস ওবামার একটি চিঠি কিউবার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মার্সেলিনো মেডিনার কাছে হস্তান্তর করেন।মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি তার চলমান ভিয়েনা সফর শেষ করে কিউবার রাজধানী হাভানা যাবেন। সেখানে তিনি নিজ দেশের আগামী দূতাবাসের পতাকা উত্তোলন করবেন। আগামী ২০ জুলাই ওয়াশিংটনে আনুষ্ঠানিকভাবে কিউবার দূতাবাস চালু করতে যুক্তরাষ্ট্র সফরে আসবেন সে দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রোডরিগুয়েজ।প্রসঙ্গত, ১৯৬০ এর দশকের শুরুর দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। পরে যুক্তরাষ্ট্র কমিউনিস্ট কিউবার বিরুদ্ধে বাণিজ্য অবরোধ আরোপ করে।২০১৪ সালের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবা সম্পর্ক স্বাভাবিক করার সিদ্ধান্ত নেয়। দীর্ঘ অর্ধ শতক পর গত এপ্রিলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা এবং কিউবা প্রেসিডেন্ট রাউল ক্যাস্ট্রো প্রথমবারের মতো আলোচনায় বসেন। এর একমাস পর যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসে মদদদানকারী রাষ্ট্রের তালিকা থেকে কিউবার নাম প্রত্যাহার করে নেয়।সম্পর্ক স্বাভাবিকের দিকে ধাবিত হলেও এখনো মার্কিন নাগরিকদের কিউবা ভ্রমণ নিষিদ্ধই রয়ে গেছে। কিউবার বিরুদ্ধে এখনো মার্কিন অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। অবশ্য ১৯৬২ সালে জারি করা এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে কংগ্রেসের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এসকেডি/পিআর
Advertisement