আয়াতুল কুরসি জান্নাত লাভের সর্বোত্তম জিকির। কুরআনুল কারিমের অনেক মর্যাদা সম্পন্ন একটি আয়াত এটি। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামও এ আয়াতটিকে কুরআনের সর্বাপেক্ষা মর্যাদা বিশিষ্ট আয়াত হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
Advertisement
আয়াতুল কুরসির মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তাঁর পূর্ণাঙ্গ পরিচয় তুলে ধরেছেন। এ আয়াতের অনেক ফজিলত ও সাওয়াব বর্ণিত হয়েছে।
এ আয়াতে আল্লাহ তাআলার প্রকাশ্য নাম ও সর্বনামের মাধ্যমে ১৭ বার তাঁর নামের উল্লেখ হয়েছে। ফজিলত বর্ণনায় হাদিসের অনেক বর্ণনা রয়েছে।
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘সুরা বাকারায় একটি আয়াত রয়েছে যা সব আয়াতের সর্দার। যে ঘরে তা পাঠ করা হয়; সে ঘর থেকে শয়তান বের হয়ে যায়।’
Advertisement
বিখ্যাত হাদিস গ্রন্থ নাসাঈতে এসেছে, প্রিয়নবি বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রত্যেক নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করবে, বেহেশতে প্রবেশের ব্যাপারে মৃত্যু ছাড়া তার আর কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না।’
আল্লাহর পূর্ণাঙ্গ পরিচয় ও আকর্ষণীয় গুণগান বর্ণনায় আয়াতুল কুরসিতে ১০টি বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে। তাঁর প্রথম পরিচয় এভাবে দেয়া হয়েছে যে-
اَللهُ لَا اِلَهَ اِلَّا هُوَ অর্থাৎ ‘আল্লাহ, তিনি ব্যতিত কোনো ইলাহ নেই।’
‘আল্লাহ’ শব্দটি হলো জাতিগত নাম। তিনি এমন সত্তা, যিনি সব উত্তম গুণে গুণান্বিত এবং সব দোষত্রুটি থেকে মুক্ত। ‘লা ইলাহা ইল্লাহ’ সেই মহান সত্তার বর্ণনা, যিনি ছাড়া কেউ ইবাদতের উপযুক্ত নয়।
Advertisement
বিশুদ্ধ চিত্তে এ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র এ বাক্যটি পাঠ করার মাধ্যমে মানুষ ঈমানের মহামূল্যবান সম্পদ লাভ করে থাকে। ঈমানের সর্বোত্তম শাখাও এটি।
প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ বাক্যটিকে তাঁর সর্বোত্তম জিকির হিসেবে সাব্যস্ত করেছেন। তিনি আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি একনিষ্ঠ মনে এ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র জিকির করবে সে জান্নাতে যাবে।’
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’র জিকির করবে, সে কেয়ামতের দিন এমন অবস্থায় উপস্থিত হবে যে, তার ওপর জাহান্নাম হারাম হয়ে গেছে।’
আর এ ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বাক্য দ্বারাই আয়াতুল কুরসি শুরু করা করেছেনে। বান্দাকে শিরকমুক্ত ঈমানের শিক্ষার কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন এ আয়াতাংশের মাধ্যমে।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়া ও পরকালের সফলতা লাভে প্রত্যেক ওয়াক্ত নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ার এবং এ আয়াতে উল্লেখিত গুণাগুনের প্রতি যথাযথ আস্থা ও বিশ্বাস স্থাপন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস