দেশজুড়ে

মুই কি একটা হুইল চেয়ার পামু

বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে শরীর। হামাগুড়ি দিয়ে অন্যের দুয়ারে দুয়ারে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন বাঁচান। শক্তি সামর্থ হারিয়েছেন বলে ছেলে-মেয়েরা খোঁজ-খবর নেয় না। এজন্য ভিক্ষাবৃত্তির পথ বেছে নিয়েছেন। `মোক একটা হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা করে দেও বাবা, আল্লাহ ভাল করবে। উপুড় হয়ে চলাফেরা করতে খুব কষ্ট হয়। একটা চেয়ার পাইলে কষ্ট কম হতো। কথাগুলো বলছিলেন নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলার কোকিল গ্রামের বৃদ্ধ রমজান আলী (৮০)।শরীরে শক্তি থাকতে রমজান আলী নিয়মিত দিন মজুরের কাজ করতেন। প্রায় চার বছর আগে উপজেলার হরতিকীডাঙ্গা গ্রামের ইসহাকের ঘরের টিনের ছাউনির কাজ করতে গিয়ে দড়ি ছিঁড়ে পড়ে মাজা ভেঙে যায়। চিকিৎসায় গৃহকর্তা ইসহাক তিন হাজার টাকা সাহায্য করেন। গরিব দিনমজুর রমজান আলী অর্থাভাবে উন্নত চিকিৎসার অভাবে গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করান। চিকিৎসায় কোন রকম সেরে উঠলেও মাজা-কোমর সোজা করতে না পেরে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। বাঁকা কোমরে উপুর হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি ছাড়া উপার্জনের আর কোন পথ খোলা নেই বলে জানান বৃদ্ধ রমজান আলী। শক্তি সামর্থ হারিয়েছেন বলে ছেলে-মেয়েরা প্রবীণ বাবার খোঁজ-খবর নেয়ার প্রয়োজন মনে করে না। তিনি সমাজের বিত্তবানদের কাছে একটি হুইল চেয়ারের আবেদন করেছেন।এসএস/পিআর

Advertisement