খেলাধুলা

মাঠেই জুয়ায় মগ্ন জুয়াড়ি

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এবারের আসরের শুরু থেকেই জুয়ার ছড়াছড়ি চলছে টুর্নামেন্ট ঘিরে। যা ইতোমধ্যেই মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। এর প্রমাণ পাওয়া যায় এই জুয়াকে কেন্দ্র করে রাজধানীর বাড্ডায় যখন এক যুবক খুন হয়ে যায়। আর আজ (শুক্রবার) বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে মিডিয়াকে জানিয়েছে, গ্যালারিতে বসে জুয়া খেলার অপরাধে ১০ ভারতীয়সহ মোট ৭৭ জনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে তারা।

Advertisement

বিসিবি এবং আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নজরদাী সত্ত্বেও আজ দু'জনকে আটক করে গোয়েন্দারা। একজনকে ল্যাপটপসহই মাঠের ভেতর আটক করা হয়। পরে অবশ্য তাকে সাথে সাথে মাঠ থেকে বের করে দেয়া হয় বলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক এনএসআই কর্মকর্তা জাগো নিউজকে জানিয়েছেন।

এদিকে উপরের ছবিতে সাদা গেঞ্জি পরা যে ব্যক্তিকে দেখা যাচ্ছে, তাকেও মোবাইলে সন্দেহজনক কাজের জন্য আটক করে তল্লাশি করা হয়। এরপর তার মোবাইল এবং হেডফোন কেড়ে নেয়া হয়। যদিও তাকে ছেড়ে দেয়া হয় পরে।

তবুও সে যাতে কোন জুয়ার মত অনৈতিক কাজে লিপ্ত না হতে পারে সে জন্য তার বসা স্থান পরিবর্তন করে দেয়া হয়। জাগো নিউজকে বিষয়টা নিশ্চিত করেন নাম প্রকাশ না করার শর্তে অপর আরেক এনএসআই কর্মকর্তা। মাঠের মধ্যেই জুয়াড়িদের ধরার জন্য গোপনে কাজ করে যাচ্ছেন এনএসআইর বেশ কয়েকজন গোয়েন্দা।

Advertisement

নাম প্রকাশ না করতে চাওয়া এনএসআইর সেই কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, ‘আধা ঘন্টা ধরে আমি তাকে অনুসরণ করছিলাম। তিনি খেলা দেখার পাশাপাশি অনেক্ষণ ধরে মোবাইলেও কি যেন করছিলেন। এরপর দেখলাম তার সাথে হেডফোনও রয়েছে। সেটিও তিনি ব্যবহার করছেন। সাথে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিষয়টি জানাই। তারা ব্যবস্থা নিয়েছেন।’

এর আগে সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন করে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক বলেন, ‘সারাদেশে যে জুয়াটা হয়, তা নিয়ে আমাদের কোন ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ কিন্তু নেই। আর দেশে জুয়া নিয়ে প্রচলিত কোন কঠিন আইনও নেই। আপনাদের জানাচ্ছি, আমাদের স্টেডিয়ামের মধ্যে কিন্তু একটি দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট আছে। স্টেডিয়ামের মধ্যে যদি কিছু হয়, তাহলে তারা সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়।’

তবে জুয়া থেকে তরুণদের সচেতন করতে বিসিবি মাঠে বিভিন্নভাবে সচেতনতা সৃষ্টির চেষ্টা করছেও বলে জানান আইএইচ মল্লিক। তিনি বলেন, ‘বিষয়টা কি আসলে দেখেন, বিসিবি কিন্তু সচেতনতা তৈরি করা ছাড়া আর কিছু করতে পারে না। করার কোন সুযোগও নেই। আপনারা দেখবেন, আমরা অলরেডি বোর্ডে এবং স্কোরবোর্ডে জুয়া বিরোধী সচেতনতামূলক বিভিন্ন লেখা প্রচার করছি।’

এমএএন/আইএইচএস/এমএমআর/এমএস

Advertisement