ক্যাম্পাস

রাবিতে ছাত্রী অপহরণ, উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) বাংলা বিভাগের এক ছাত্রী অপহরণের ঘটনায় উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। ওই ছাত্রীর সন্ধান ও ক্যাম্পাসে নিরাপত্তার দাবিতে বিকেল ৪টা থেকে তারা সেখানে অবস্থান নেন। এসময় শিক্ষার্থীরা ওই ছাত্রীর সন্ধান চেয়ে দুই ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।

Advertisement

অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, ইচ্ছার বাইরে আমাদের বাবাও জোর করে আমাদের ক্যাম্পাস থেকে তুলে নিতে পারেন না। অথচ তার সাবেক স্বামী কীভাবে ক্যাম্পাস থেকে তুলে নিয়ে যায়। অপহরণের আট ঘণ্টা পেরিয়ে গেছে কিন্তু এখনও প্রশাসন তার সন্ধান জানাতে পারেনি।

ওই ছাত্রীর বাবা আমজাদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে একজন ছাত্রীকে কীভাবে তুলে নিয়ে যায়? এ দায় সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের। এ বিষয়ে থানায় একটি অপহরণ মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

ঘটনাস্থলে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুস সোবহান বলেন, এটা পারিবারিক বিষয়। ওই ছাত্রীর চাচা এখানকার শিক্ষক। আমি তাকে ডেকে পারিবারিকভাবে বিষয়টি সমাধান করতে বলেছি। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নিবে।

Advertisement

এর আগে শুক্রবার সকালে পরীক্ষা দেয়ার উদ্দেশ্যে তাপসী রাবেয়া হল থেকে বের হন ওই ছাত্রী। হল থেকে বের হওয়ার পর তার সাবেক স্বামী সোহেল রানাসহ কয়েকজন তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করে। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে তারা জোর করে ওই ছাত্রীকে সাদা একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে দ্রুত চলে যায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই ছাত্রীর এক সহপাঠী জানায়, তারা জোর করে আমার বান্ধবীকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যায়। এসময় আমার বান্ধবী চিৎকার করে বলছিল, ‘আমাকে বাঁচা’। হলের সামনে থাকা কয়েকজন রিকশাচালক এগিয়ে আসলেও তাদের আটকাতে পারেনি। তারা দ্রুত সেখান থেকে চলে যায়।

জানা যায়, গত বছরের ডিসেম্বরে সোহেল রানার সঙ্গে তার পারিবারিভাবে বিয়ে হয় ওই ছাত্রীর। দুই মাস আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, তার স্বামীই তাকে তুলে নিয়ে গেছে। এর আগেও তার স্বামী নাকি ওই মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে হলের সামনে আসতো। শুনেছি, দুই মাস আগে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। কিন্তু তিন মাস না হওয়া পর্যন্ত কার্যকর হয় না। তার স্বামী সোহেল রানা চাইছিল, যে বিচ্ছেদ না হয়।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ওই ছাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে পুলিশ প্রশাসনকে নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে মতিহার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী হাসান বলেন, এখনও ওই ছাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তার পরিবার মামলা করবে।

রাশেদ রিন্টু/এমএএস/পিআর