অর্থনীতি

এসএমই উন্নয়ন ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব

ডি-৮ সদস্যভুক্ত দেশগুলোর ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের উন্নয়নে একটি ‘বিশেষায়িত এসএমই উন্নয়ন ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

Advertisement

নাইজেরিয়ার রাজধানী আবুজার ট্রান্সকোভার হিলটন হোটেলে অনুষ্ঠিত ৬ষ্ঠ ডি-৮ শিল্পমন্ত্রী সম্মেলনে তিনি এ প্রস্তাব দেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, এসএমই খাতে বিরাজমান বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে সদস্যভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর দ্রুত আর্থসামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব। এ লক্ষ্যে তিনি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে এসএমইখাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে দ্রুত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের পরামর্শ দেন।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে নাইজেরিয়ার শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী ড. ওকিচুকুউ এনইলেমাহ মিশরের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী প্রকৌশলী তারেক কাবিল, ইন্দোনেশিয়ার শিল্পমন্ত্রী আরিলগগা হার্টটো, ইরানের শিল্প ও খনিজসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ রেজা নেমোতাতাদেহ, মালয়েশিয়ার শিল্পমন্ত্রী মোস্তফা বিন মোহামেদ, পাকিস্তানের শিল্পমন্ত্রী গোলাম মোস্তফা খান জেটি, তুরস্কের শিল্পমন্ত্রী ড. ফারুক ওজুলু, প্রতিমন্ত্রী আয়েশা আবুবকরসহ তুরস্ক, ইরান, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার শিল্পমন্ত্রী এবং ডি-৮ মহাসচিব ড. সাঈদ আলী মোহাম্মদ মৌসাভী বক্তব্য রাখেন।

Advertisement

এতে বিভিন্ন দেশের ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং বেসরকারি শিল্প উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর এ অর্থনৈতিক জোট বিশ্ব বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। শুধুমাত্র দেশগুলোর মধ্যে আন্তঃবাণিজ্য বাড়িয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তিনি অটোমোবাইল, জাহাজ নির্মাণ, তৈরি পোশাক, পেট্রোকেমিক্যাল, সফটওয়্যার ও আইসিটি শিল্পখাতে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্প গ্রহণের তাগিদ দেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে বিনিয়োগ ও কারিগরি সহায়তা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। মেশিনারি শিল্পে যে সব দেশের দক্ষতা ও উন্নত প্রযুক্তি সুবিধা রয়েছে, সেগুলো অন্য সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে। পাশাপাশি বাণিজ্যের অশুল্ক বাধা দূরীকরণের লক্ষ্যে অভিন্ন মান প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। তিনি এ লক্ষ্যে ডি-৮ সচিবালয়কে শক্তিশালীকরণ ও এর জনবল বৃদ্ধির তাগিদ দেন।

আমির হোসেন আমু বলেন, বাংলাদেশ যখন দ্রুত উন্নতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তখন মিয়ানমার সরকার পরিকল্পিতভাবে বলপূর্বক সে দেশের সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে জাতিগত নিধনের প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশে ঠেলে দিচ্ছে। জনবহুল বাংলাদেশ মানবিক বিবেচনায় রোহীঙ্গা জনগোষ্ঠীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে। তিনি মিয়ানমারে জাতিগত নিধন বন্ধ এবং দ্রুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সহযোগিতা ও সমর্থন কামনা করেন।

Advertisement

এসআই/এনএফ/আইআই