জাতীয়

‘নাড়ির টানে ছুটে আসবে মানুষ নবান্ন উৎসবে’

আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন হলো প্রাণ-এর ‘নবান্ন উৎসব’। দেশবরেণ্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে প্রাণ চিনিগুড়া-সুগন্ধি চালের আয়োজনে এই উৎসব ও মেলা চলছে রাজধানীর ধানমন্ডির রবীন্দ্র সরোবরে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে এ মেলার শুরু হয়। বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। তিনদিনব্যাপী এ মেলা শেষ হবে শনিবার। প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে।

Advertisement

উৎসব উদ্বোধন করে প্রধান অতিথি কবি নূরুল হুদা বলেন, ধান থেকে প্রাণ, ধানে আমরা ধণ্য, ধান দিয়ে আসে নবান্ন। ধান আসবে, কৃষাণী হাসবে, ছেলে-মেয়ে খেলবে এটাই বাংলার চিরাচরিত অধ্যায়। সেই উৎসবকে কেন্দ্র করে আজ প্রাণ-এর আয়োজনে নবান্ন উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, বাঙালির সংস্কৃতির সঙ্গে বৈশ্বিকতা রয়েছে। যুগে যুগে এদেশে নানা সংস্কৃতির মানুষ এসেছে। সেসব মানুষের কৃষ্টি-কালচারের সমন্বয়ে বাঙালির সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। আর বাঙালির ঐতিহ্যবাহী উৎসব হচ্ছে নবান্ন উৎসব। এটি শহরের অনেক মানুষের কাছে অপরিচিত। ধানে ধানে জাতীয়তা ধরে রাখতে বেশি বেশি গ্রামবাংলার উৎসবে শহরের মানুষকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান তিনি।

অপর বক্তা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক অসিম কুমার উকিল বলেন, নবান্ন উৎসবে এসে আমরা আজ নাড়ির টান ফিরে পেয়েছি। দর্শণার্থীরাও ঠিক সেই টানে এ মেলায় ছুটে আসবে। এ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাঙালির হাজার বছরের সংস্কৃতি ঐতিহ্যকে সুসংগঠিত করা হয়েছে। বাঙালির এসব উৎসকে কেন্দ্র করে অন্যদের এমন অনুষ্ঠান আয়োজনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

Advertisement

প্রাণ-এর বঙ্গ মিলারস্-এর প্রধান নির্বাহী মো. শাহান শাহ আজাদ বলেন, বাঙালির ঐতিহ্যবাহী বাংলা নবান্নকে শহরবাসীর কাছে তুলে ধরতে আমরা নবান্ন উৎসব ও মেলার আয়োজন করেছি। সকলের জন্য এ মেলা উন্মুক্ত করা হয়েছে। প্রতিবছর একইভাবে এ উৎসবকে কেন্দ্র করে এ মেলার আয়োজন করা হবে বলেও তিনি ঘোষণা দেন।

তিনদিনব্যাপী এ মেলায় বাংলার নবান্নের ঐতিহ্যবাহী নানারকমের পিঠা-পুুলি, পায়েসসহ নানা ধরনের খাবার বিক্রি হচ্ছে। মেলায় ছন আর বাঁশ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ৩২টি স্টল। দর্শণার্থীদের বিনোদনে থাকছে নাগরদোলা, পুতুল নাচ, বায়োস্কোপ, বানর নাচ, সাপ খেলা, ঢেকিসহ গ্রামবাংলার সব ঐতিহ্য।

শুধু তাই নয় মেলা চলাকালিন প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দেশবরেণ্য শিল্পিদের উপস্থিতিতে জারি-সারি, বাউল, ভাওয়াইয়া, একক সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, পথ নাটকসহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনের মাধ্যমে উৎসবকে মুখরিত করে তোলা হবে।

এমএইচএম/জেডএ/জেআইএম

Advertisement