রসগোল্লা বাংলার বলে জিওগ্রাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) আদায় করে নিলেও ওড়িষ্যা তাদের দাবি থেকে সরছে না। তাদের বক্তব্য, ‘বাংলার রসগোল্লা’ জিআই-তকমা পাওয়ার অর্থ, রসগোল্লার উপরে আর বাংলার একাধিপত্য রইল না। বাংলায় তৈরি রসগোল্লার জন্য জিআই পেয়েছে ‘বাংলার রসগোল্লা’। ওড়িষ্যায় তৈরি রসগোল্লার জন্যও জিআই চাওয়া হবে।
Advertisement
উনিশ শতকের বাংলাতেই প্রথম রসগোল্লার কথা শোনা যায় বলে জিআই-কর্তৃপক্ষ মেনে নিলেও ওড়িষ্যার জগন্নাথ-সংস্কৃতি বিশেষজ্ঞ অসিত মোহান্তি বলছেন, বলরাম দাসের ষোড়শ শতকের ‘দণ্ডি রামায়ণে’ রসগোল্লার উল্লেখ রয়েছে। ভরদ্বাজ মুনির আশ্রমে ভরত-শত্রুঘ্নকে মুনিবর ছেনাপুরী, ছেনালাড্ডু, রসাবলী ও রসগোল্লায় আপ্যায়ন করেছিলেন।
জিআই-এর আর্জি নিয়ে বিশেষজ্ঞেরা কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন ওড়িষ্যার অর্থমন্ত্রী শশিভূষণ বেহরা। এ ছাড়া জিআই নথিভুক্তিকরণ দফতরের সহকারী রেজিস্ট্রার চিন্নারাজা জি নায়ডু বলেছেন, ওড়িষ্যার ভৌগোলিক সীমানায় তৈরি রসগোল্লার জন্য জিআই আবেদন করতে বাধা নেই।
উল্লেখ্য, স্বত্ব দাবি আদায়ে ওড়িষ্যাকে নিজের রসগোল্লার ইতিহাস, সাংস্কৃতিক যোগ, রাসায়নিক বৈশিষ্ট্য সব পেশ করতে হবে। প্রমাণ করতে হবে সেটির মৌলিকত্ব। সূত্র : আনন্দবাজার
Advertisement
আরএস/আরআইপি