আন্তর্জাতিক

ধনকুবের হয়েও সাধারণের মতো তারা!

মার্ক জুকেরবার্গকে কে না চেনে। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা এই ব্যক্তি প্রথম থেকেই সাধারণ জীবনযাত্রায় অভ্যস্ত। নিজের জন্য ধূসর রঙের অনেকগুলো টি-শার্ট কিনে রেখেছেন তিনি। যেগুলো পরিহিত অবস্থায় তাকে অধিকাংশ সময় দেখা যায়।

Advertisement

বিশ্বের ধনী সিইওদের মধ্যে অন্যতম ওয়ারেন বাফেট। ১৯৫৮ সালে প্রায় ৩১ হাজার পাঁচশ ডলারে কেনা একটি বাড়িতেই থাকেন তিনি। এখনও মিনিট পাঁচেক নিজে গাড়ি চালিয়ে কর্মক্ষেত্র থেকে খাবার খেতে যান। কিছু টাকা বাঁচানোর জন্যই এমনটা করেন তিনি।

ভারতের ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে অন্যতম আজিম প্রেমজি। উইপ্রোর কার্যালয়ে পরিমাণে কম টয়লেট পেপার ব্যবহারের ব্যাপারে খেয়াল রাখেন তিনি। কর্মীরা কাজ সেরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় যেন লাইট বন্ধ করেন, সে দিকেও খেয়াল রাখেন তিনি।

বিমানবন্দর থেকে অনেক সময় অটোতে চড়েও তিনি যাতায়াত করেন বলে শোনা যায়।

Advertisement

ইঙ্গভার কামপার্ড সব সময় বিমানের বিজনেস ক্লাসেই যাতায়াত করেন। চড়েন ১৫ বছরের পুরনো ভলভো গাড়িতে। লোক মুখে শোনা যায় তিনি এবং তার স্ত্রী খুব কম দামি রেস্তোরাঁতেও খেতে যান।

স্পেনের লা কোরুনার একটি অ্যাপার্টমেন্টে স্ত্রীর সঙ্গেই থাকেন আমানিকো ওর্টেগা। রোজকার পোশাক বলতে একটি নীলরঙা ব্লেজার, সাদা শার্ট এবং গ্রে রঙের প্যান্ট তার। তবে কোনোটিই তার নয়। অফিসে কর্মীদের সঙ্গেই প্রতিদিন খাওয়া-দাওয়া করেন তিনি।

সাধারণত বাইকে চড়েই যাতায়াত করেন টিম কুক। ক্যাফেটেরিয়াতেই খাবার খান তিনি। ২০১০ সালে কেনা একটি ফ্ল্যাটে থাকেন তিনি।

দুঃস্থ মানুষের পাশে সব সময় থেকেছেন কার্লোস স্লিম হেলু। নিজস্ব কোনো বিমান নেই তার। গত ৪০ বছর ধরে থাকেন ছয় ঘরওয়ালা একটি বাড়িতে।

Advertisement

ওয়ালমার্টের প্রতিষ্ঠাতা শ্যাম ওয়ালটনের মতোই সাধারণ জীবনে বিশ্বাসী জিম সি ওয়ালটন। একটি সাধারণ বাড়িতে তারও বাস। আনন্দবাজার।

কেএ/জেআইএম