সাগরতলের অজানা রহস্য ছাড়াও সাগরের মৎস্য, প্রাণী জগৎ, জীব বৈচিত্র এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে কাজ করতে বঙ্গোপসাগরের সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে গবেষণা চালাবে ইসাবেলা ফাউন্ডেশন। এ লক্ষ্যে ১৭ নভেম্বর সমুদ্রে রওনা হবে ৪০ জনের এক গবেষক দল।
Advertisement
বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। নৌ বাহিনী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় ১৭ থেকে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিন থেকে চলা ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের এ গবেষণা দলের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে আধুনিক প্রযুক্তির জরিপ জাহাজ ‘মীন সন্ধানী’।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকরা বলেন, সাগরতলে ২০০ মিটার পর্যন্ত গভীরে গিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ব্যবহার করে যতটুকু গভীর পর্যন্ত সম্ভব ততটুকু এলাকার প্রাণী জগৎ সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করা হবে। এছাড়া ভবিষ্যৎ গবেষণার জন্য একটি গাইড লাইন তৈরি করা হবে। সাগরতলে আমরা সাগরের মৎস্য, প্রাণী, জীব বৈচিত্র এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্য নিয়ে কাজ করব। সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ডে এবারের গবেষণায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৪০ জন গবেষক আধুনিক যন্ত্রপাতি নিয়ে অংশগ্রহণ করবে। তারা বলেন, চলতি বছরের মার্চ মাসে ১৩ জনের একটি গবেষক দল সোয়াচের নানা এলাকা ঘুরে গবেষণাধর্মী একটি মানচিত্রের কাজ সম্পন্ন করে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের পাঁচ দিনের এই অভিযাত্রা। সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড সাগর অভিমুখে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত, এর কিছু অংশ বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, শ্রীলঙ্কার আওতায় পড়েছে। বাংলাদেশের অংশেই আমাদের গবেষণা চলবে কারণ এই জায়গাটি এখনও আমাদের কাছে রহস্য। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসাবেলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারপার্সন কবির বিন আনোয়ার, সমন্বয়ক সাকিল আহমেদ, আন্ডার ওয়াটার এক্সপ্লোরার এসএম আতিকুর রহমান প্রমুখ।
এএস/এমআরএম/এমএস
Advertisement