আইন-আদালত

প্রধান বিচারপতি নিয়োগে সময়ের বাধ্যবাধকতা নেই

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, প্রধান বিচারপতি কত দিনের মধ্যে নিয়োগ করতে হবে, সে ব্যাপারে সময়ের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এটি সম্পূর্ণ রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার। তিনি যখন চাইবেন, তখনই নিয়োগ দিতে পারেন।

Advertisement

বুধবার রাজধানীর বারিধারায় ‘আর মাদক নয়, এ হোক প্রত্যয়’ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রত্যয় মেডিকেল ক্লিনিক আয়োজিত মাদক প্রতিরোধমূলক এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি ছিলেন।

প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার তাই এ বিষয়ে তিনি কিছু বলবেন না। আপিল বিভাগে বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘এটি রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব। তবে আমি মনে করি, প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পরপরই আপিল বিভাগে বিচারপতির যে স্বল্পতা রয়েছে তা পূরণ করা হবে।’

বর্তমানে প্রধান বিচারপতি নেই, এটা কোনো সংকট কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এটি কোনো সমস্যা না। সংবিধানে প্রধান বিচারপতির অনুপস্থিতিতে বা তিনি পদত্যাগ করলে কী হবে বা কে দায়িত্ব পালন করবেন, তা বলা আছে। এ কারণে যখন সাবেক প্রধান বিচারপতি (সুরেন্দ্র কুমার সিনহা) ছুটিতে গেলেন, তখন বিচারপতি আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞাকে রাষ্ট্রপতি দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি করেন। এখন রাষ্ট্রপতি সময় অনুযায়ী নিয়োগ দেবেন। কিন্তু কত দিনের মধ্যে তাকে নিয়োগ দিতে হবে, এর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। তিনি যখন মনে করবেন, তখন দেবেন।

Advertisement

আইনমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগের বিষয়টি যেহেতু একেবারেই রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার, তাই এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়ের বলার কিছু নেই। আনিসুল হক বলেন, দেশের ভেতরে মাদক আমদানি আইন করে প্রতিরোধ করা যায়। কিন্তু আইন করে মাদকসেবন বন্ধ করা যায় না। এজন্য আইনের পাশাপাশি সচেতনতামূলক প্রতিরোধ কর্মসূচির গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।

প্রত্যয় মেডিকেল ক্লিনিক আয়োজিত মাদক প্রতিরোধ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের প্রধান কনসালট্যান্ট সৈয়দ ইমামুল হোসেন ও প্রত্যয় মেডিকেল ক্লিনিকের চেয়ারম্যান নাজমুল হক।

এফএইচ/ওআর/জেআইএম

Advertisement