আন্তর্জাতিক

ছয় মাসে দেড় লাখ শরণার্থী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়েছে

চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে এক লাখ ৩৭ হাজার শরণার্থী ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ভিড়েছে বলে জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে। বুধবার সংস্থাটি জানায়, এদের অধিকাংশই যুদ্ধ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে নিজ দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।ইউএনএইচসিআর থেকে জানানো হয়, শরণার্থীদের নিয়ে ইতিহাসের সবচেয়ে গভীর সংকটে পতিত হয়েছে ইউরোপ। ২০১৪ সালের একই সময়ের তুলনায় এ বছর সমুদ্র পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের সংখ্যা ৮৩ শতাংশ বেড়েছে।এ তথ্যসমূহ প্রতিবেদনে উপস্থাপন করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশন। ইউএনএইচসিআর-প্রতিনিধি ব্রায়ান হান্সফোর্ড হতাশা প্রকাশ করে জানান, এ তালিকা আরো দীর্ঘায়িত হওয়ার পথে।২০১৪ সালেও ঠিক একই বিষয়বস্তুর ওপর জরিপ হয়েছিল। তার সঙ্গে তুলনা করে দেখা যাচ্ছে, একই সময়ে ইউরোপ মহাদেশে শরণার্থী জড়ো হওয়ার অনুপাত ৮০ শতাংশ বেড়ে গেছে। পৃথিবীজুড়ে ক্ষুধা, দারিদ্র এবং যুদ্ধ ক্রমশ বেড়ে যাওয়াকেই কারণ হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।এছাড়া এই শরণার্থী ইস্যুতে, সুনির্দিষ্ট কোনো সিদ্ধান্তে একমত হতে পারছেন না ইউরোপের নেতারা। সিদ্ধান্তহীনতার এমন দীর্ঘসূত্রিতা এর আগে দেখা যায়নি বলেই সংশ্লিষ্টরা অভিমত দিয়েছেন। ইউরোপীয় রাজনীতিকরা শরণার্থীদের কোন অংশকে গ্রহণ করবে, কোন অংশকে ফিরিয়ে দেবে, সে ব্যাপারে একমত হতে চাইছে এখনো অব্দি।জরিপ বলছে, শরণার্থীরা সবচেয়ে বেশি জড়ো হয়েছে গ্রিসে। অথচ দেশটি শোচনীয়তম সময় অতিক্রম করছে তাদের দৈনতাকে ঘিরে। এ অবস্থায় বাড়তি মানুষের চাপ দেশটিকে আরো পেছনে ঠেলেছে। শুধুমাত্র ইতালি ও গ্রিসে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীর সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার।বিএ/আরআইপি

Advertisement