পবিত্র রমজান মাসে দেশের রাজনীতির অঙ্গনে যেন রহমত মাগফেরাত আর নাজাতের ছোঁয়া লেগেছে। একদিকে রাজপথে আন্দােলন বাদ দিয়ে রমজানের শুরু থেকেই ইফতারকেন্দ্রিক রাজনীতি নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বিএনপি। অন্যদিকে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই বাজেট পাসসহ নিজস্ব গতিতে চলছে সরকার।এদিকে রমজানের আগে সরকার পতন আন্দােলনের অংশ হিসেবে বিএনপিকে পুনর্গঠন ও সাংগঠনিক ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করতে নানা পরিকল্পনার কথা শোনা গেলেও রমজান মাসের কারণে সেই পক্রিয়া থমকে গেছে।আপাতত ইফতারকেন্দ্রিক রাজনীতিতে বিএনপির সরব অবস্থান লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাশাপাশি নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে নানা বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে সরকারের বিভিন্ন সমালোচনার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে বিএনপির সরকার-বিরোধী কর্মসূচি। অবশ্য বিএনপির নেতারা বলছেন, রমজান মাসে রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের সুযোগ কম থাকে। তাই রাজপথের আন্দােলনে তারা সক্রিয় নন। পাশাপাশি দলটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের অনেকে কারাগারে থাকায় আন্দােলনে গতি পাচ্ছে না।এদিকে টানা তিন মাসের আন্দোলন, সিটি নির্বাচনের পর অনেকটা ঝিম মেরে আছে বিএনপি। জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচি ছাড়া এর মধ্যে বড় কোনো কর্মসূচি ছিল না দলটির। পরবর্তীতে দলের চেয়ারপারসন নিজের কার্যালয়ে কিছু মতবিনিময় সভা করেছেন। রোজা শুরু হওয়ার পর থেকে ইফতারকেন্দ্রিক কর্মসূচিতে চলছে বিএনপির রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড।বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ইতিমধ্যে এতিম, আলেম-ওলামা, পেশাজীবী ও বিশিষ্ট নাগরিক, কূটনীতিক এবং রাজনীতিক নেতাদের সম্মানে আলাদা চারটি ইফতারের আয়োজন করেছেন। এ ছাড়া বিএনপি-জোটের শরিক বিভিন্ন দলের ইফতারে যোগ দিচ্ছেন তিনি। এসব ইফতারে জ্যেষ্ঠ নেতারাও যোগ দিচ্ছেন, যাদের অনেকে এতদিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন।জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, রমজানে সবাই রোজা রাখেন, রাতে ইবাদত বন্দেগি করেন, এ মাসে সক্রিয় রাজনীতি সেভাবে করা যায় না। সব দলেরই একই অবস্থা। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এটি একটি সংস্কৃতি যে, এ মাসে ইফতারকেন্দ্রিক সবকিছু হয়।তিনি বলেন, ইফতার বা ধর্মীয় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে রাজনীতি-সামাজিকতার চর্চা করা হয়। এর ভালো প্রভাবও আছে। বিএনপিও তা করছে।এমএম/বিএ/পিআর
Advertisement