মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার মেনে নেবে না। মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, সব দেশেরই উচিত সন্ত্রাসবাদে অর্থ সহায়তা দেয়া বন্ধ করা এবং কোনো দেশকে যেন সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করতে না পারে সেজন্য সব দেশকে সচেষ্ট হতে হবে।
Advertisement
ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় পূর্ব এশিয়ান সামিটে একটি রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ভাষণ দেন ট্রাম্প। ওই সম্মেলনে আরো বেশ কিছু দেশের নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
ভাষণে মুক্ত এবং অবাধ ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল এবং শক্তিশালী, সার্বভৌম ও স্বাধীন দেশ নির্মাণের লক্ষ্য অর্জনে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি, দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত দ্বীপ, সন্ত্রাসবাদ এবং বেশ কিছু মানবিক সংকটসহ চারটি নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিশ্বনেতাদের উদ্দেশে ভাষণ দেন ট্রাম্প।
স্বাধীন দেশগুলো নিজেদের ইচ্ছামত দেশকে পরিচালনা করবে। উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক এবং ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম পুরো বিশ্বকেই হুমকির মুখে ফেলছে বলেও উল্লেখ করেন এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
Advertisement
কোরীয় দ্বীপে উত্তেজনা কমাতে সব দেশকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমাদের উচিত উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করা, তাদের সঙ্গে সব ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্যের সব সম্পর্ক ছিন্ন করা, তাদের দেশের শ্রমিকদের কাজে না নেয়া এবং দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা।
তিনি আরো বলেন, বিশ্বজুড়ে পরমাণু হামলার হুমকি দিচ্ছে এমন দেশের আমাদের মতো সার্বভৌম দেশগুলোতে কোনো স্থান নেই। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের দ্বীপ নির্মাণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, সব দেশের আঞ্চলিক সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র।
রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে কথা বলেই ভাষণ শেষ করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে নিরাপত্তা বাহিনীর হামলায় ৬ লাখ মানুষ তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এই সমস্যা সমাধান করতে এবং শরণার্থীদের নিরাপদে দেশে ফেরার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতা করবে বলেও জানান তিনি।
টিটিএন/পিআর
Advertisement