জাতীয়

ভুয়া কারুশিল্পীদের নামে বরাদ্দকৃত প্লট বাতিলের নির্দেশ

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার জামদানি শিল্পনগরীতে জামদানি কারুশিল্পীদের নামে কোনো ভুয়া কারুশিল্পী প্লট বরাদ্দ নিয়ে থাকলে, তা বাতিল করে দ্রুত প্রকৃত কারুশিল্পীদের বরাদ্দ দিতে বিসিককে নির্দেশ দিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।বুধবার রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে ১০ দিনব্যাপি জামদানি প্রদর্শনী-২০১৫ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক) এবং জাতীয় জাদুঘর যৌথভাবে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। বিসিক চেয়ারম্যান আহমদ হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম, শিল্পসচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া, জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।আমির হোসেন আমু বলেন, দেশের জামদানি শিল্পকে ঐতিহ্যবাহী মসলিনের জায়গায় ফিরিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার। যে বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে, তার মধ্যে জামদানি ও মসলিনের মতো সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অন্যতম। আর এজন্য জামদানি শিল্পের প্রসারে আধুনিক ও পরিকল্পিত জামদানি শিল্পনগরী গড়ে তোলা হচ্ছে।শিল্পমন্ত্রী বলেন, সরকার রূপগঞ্জ উপজেলার নোয়াপাড়ায় বিসিকের মাধ্যমে ২০ একর জমির ওপর দৃষ্টিনন্দন জামদানি শিল্পনগরী ও গবেষণা কেন্দ্র স্থাপন করেছে। এ নগরীর ৪০৯টি শিল্প প্লটের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩৯৯টি প্লট উদ্যোক্তাদের মাঝে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। জামদানি শিল্পের বিকাশে সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তাদের মাঝে বিসিক নকশা বিতরণ ও অর্থায়নের ব্যবস্থা করেছে।এসব বরাদ্দকৃত সকল প্লটেই যাতে জামদানি শিল্প স্থাপন হয়, তা নিশ্চিত করতে তিনি বিসিকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। পাশাপাশি জামদানি কারুশিল্পীদের নামে অন্য কেউ প্লট বরাদ্দ নিয়ে থাকলে, তা বাতিল করে দ্রুত প্রকৃত কারুশিল্পীদের বরাদ্দ দিতে তিনি বিসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ঐতিহ্যবাহী জামদানি, বেনারসি, সিল্ক, কাতানসহ বিভিন্ন বস্ত্র এবং পাট শিল্পের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রেক্ষিতে পদ্মা নদীর ওপাড়ে নতুন বেনারসি পল্লী গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে উদ্যোক্তাদের জন্য প্লট, ঋণ সুবিধা, আবাসন, শ্রমিকদের ছেলে-মেয়েদের জন্য শিক্ষা, চিকিৎসাসহ সংশ্লিষ্ট সকল সুবিধাদি নিশ্চিত করা হবে।জামদানি শিল্পের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে বিসিকের পাশাপাশি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ও সম্ভব সব ধরনের সহায়তা দিতে আগ্রহী বলে তিনি জানান।উল্লেখ্য, ১০ দিনব্যাপি আয়োজিত এ প্রদর্শনীতে ৩৮টি জামদানি শাড়ি ও বস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। এতে নিপুণ কারুকার্য এবং বাহারি নকশার জামদানি শাড়ি, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, মানিব্যাগ, রুমাল ও হাত ব্যাগ, মেয়েদের বিভিন্ন পোশাক, টেবিল ক্লথ ও অন্যান্য পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। এ প্রদর্শনী প্রতিদিনি সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ক্রেতা দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। পরে মন্ত্রী বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর প্রাঙ্গণে ফিতা কেটে প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।এসআই/বিএ/পিআর

Advertisement