উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিভিন্ন হুমকির প্রেক্ষাপট থেকে ধারণা করা হচ্ছে একক ক্ষমতা পেলে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো যে কোনো সময় পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার শুরু করে দিতে পারেন।
Advertisement
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের একক ক্ষমতা কতটা নিরঙ্কুশ থাকা উচিত তা নিয়ে একটি সিনেট কমিটিতে কংগ্রেসের শুনানি হয়েছে। ১৯৭৬ সালের পর এমন ঘটনা ঘটলো।
যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের যে নিজস্ব ক্ষমতা রয়েছে তা বর্তমান প্রেসিডেন্টের ক্ষেত্রে কতটা নিরাপদ তা নিয়ে আলোচনায় বসে মার্কিন কংগ্রেস।
কংগ্রেসের সিনেট আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক কমিটির এ শুনানির শিরোনাম ছিল, পারমানবিক অস্ত্র ব্যবহার করার এখতিয়ার।
Advertisement
শুনানিতে অংশ নেয়া সিনেটরদের একাংশ উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো যে কোনো সময়ই পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহার শুরু করে দিতে পারেন। আবার কিছু সিনেটর মনে করেন, কোনো আইনজ্ঞের হস্তক্ষেপ ছাড়াই তার এ কাজ করার অধিকার থাকা উচিৎ।
আইন-প্রণেতাদের মধ্যে ট্রাম্পের পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের এখতিয়ার নিয়ে এমন প্রশ্ন ও উদ্বেগের সূত্রপাত হয়েছে গত অাগস্টে তার কথার সূত্র ধরে থেকে। যখন উত্তর কোরিয়া ক্রমাগত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিল তখন ডোনাল্ড ট্রাম্প জোর দিয়ে বলেছিলেন, এর জবাবে দ্রুত এমন ব্যবস্থা নেয়া হবে যা বিশ্ব কখনোই দেখেনি।
এরপর গত মাসে ট্রাম্পের বক্তব্যকে ঘিরে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পথে হাটা বলে মন্তব্য করেছিলেন সিনেট কমিটির রিপাবলিকান চেয়ারম্যান সিনেটর বব ক্রোকার।
ক্যাপিটাল হিলে অংশ নেয়া শুনানিতে কানেকটিকাটের ডেমোক্র্যাট সদস্য ক্রিস মারফি বলেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প তার সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে এতটাই অস্থির যে, পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে মার্কিন নিরাপত্তা স্বার্থের ব্যত্যয়ও ঘটতে পারে।
Advertisement
শুনানিতে আইনজ্ঞ, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, সেনা কর্মকর্তা এবং নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরাও তাদের মতামত দেন। জরুরি ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের একক ক্ষমতা থাকার ওপরও মত দেন কেউ কেউ। তবে শুনানি শেষে পারমাণবিক অস্ত্রাগারগুলোর আধুনিকায়নে সবাই একমত হয়েছেন।
টিটিএন/আইআই