জামদানি পল্লীতে বরাদ্দকৃত প্লটে প্রকৃত কারিগররা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। বুধবার জাতীয় জাদুঘরে জামদানি প্রদর্শনীর উদ্বোধন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প (বিসিক) ও জাতীয় জাদুঘরের যৌথ উদ্যোগে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। আমির হোসেন আমু বলেন, ঐতিহ্যবাহী জামদানি শিল্পের ঐতিহ্য ফিরে আনতে এবং এই শিল্পের উন্নয়নে সরকার শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের জন্য জামদানি পল্লীতে ৩৬৫টি প্লট বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সেখানে অনেকেই প্লট নিয়েছেন, যারা এই শিল্পের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন।তিনি বলেন, রাজনৈতিক প্রভাব খাঁটিয়ে এবং অনিয়মের মধ্য দিয়ে প্লট বরাদ্দ নিয়ে সেগুলো হয় বিক্রি করা হচ্ছে নতুবা অন্যদের ভাড়া দিয়ে দিচ্ছে। এটি কোনোভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। এই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে একটি শিল্পকে আরো ধ্বংস করা হবে। এখনই এ ব্যাপারে নজর দেয়া দরকার এবং জামদানি পল্লী দখলমুক্ত করা দরকার। আওয়ামী লীগের এই বর্ষীয়ান রাজনীতিক বলেন, ব্রিটিশরা এদেশের ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে ধ্বংস করার সকল ষড়যন্ত্র সম্পন্ন করেছিল। তারা এ দেশে ধান চাষের পরিবর্তে নীল চাষে কৃষকদের বাধ্য করেছিল। মসলিন, জামদানি, বেনারসি শিল্পের কারিগরদের হাত পর্যন্ত কেটে দিয়েছিল। অনেককেই হত্যা করেছে। পাকিস্তান আমলেও এই অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী শিল্পকে ধ্বংস করার চেষ্টা হয়েছে। ২০২১ সালের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য দিয়েই উন্নয়নে বিশ্বাস করি। এ লক্ষ্যেই প্রধানমন্ত্রী আমাদের হারানো ঐহিত্য ফিরে আনতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে। বিএনপি নেতৃত্বধীন বিরোধী জোট সেই ষড়যন্ত্রে সামিল হয়েছে। হত্যা, জ্বালাও-পোড়াও করে কখনো গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা যায় না বলে উল্লেখ করেন তিনি।বিসিক চেয়ারম্যান আহমেদ হোসেন খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া। এএসএস/বিএ/এমএস
Advertisement