বড় ধরনের ঘটনা ছাড়াই এশিয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ম্যারাথন সফর শেষ হয়েছে। সফরের হিসেব-নিকেশ ও ট্রাম্পের প্রাপ্তির চেয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তার উদযাপন এবং জমকালো উপস্থিতি ও হাস্যরসকে বড় করে দেখছেন বিশ্লেষকরা। তারা বলছেন, ট্রাম্পের এ সফরে নিরেট সাফল্যের অর্জন ছিল যৎসামান্য।
Advertisement
টোকিওতে লাল-গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয় ট্রাম্পকে। এ সংবর্ধনার ব্যাপারে ট্রাম্প বলেন, এটা ছিল লাল গালিচা, আমি মনে করি আমাকে ছাড়া এ ধরনের সংবর্ধনা আগে কাউকে দেয়া হয়নি।
টোকিওতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে ট্রাম্পের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন করেন। বেইজিংয়ে তিনি চীনের নিষিদ্ধ নগরী সফর করেন। যেখানে তিনি মনোরম পেকিং অপেরা উপভোগ করেন। সিউলে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন ট্রাম্পের সম্মানে বিশেষ ভোজের আয়োজন করেন।
বিতর্কিত মন্তব্যে পটু মার্কিন এ প্রেসিডেন্টের দীর্ঘ সফরে যাওয়ার অনীহা আছে। চারদিনের এশিয়া সফরে মূলত তেমন কিছুই পরিবর্তন আনতে পারেননি ট্রাম্প। টোকিও থেকে সিউল হয়ে, বেইজিং, দানাং, হ্যানয় এবং ম্যানিলায় গিয়ে সফর শেষ করেছেন ৭১ বছর বয়সী ট্রাম্প।
Advertisement
সফরে সব জায়গায় তিনি দুটি বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেছেন; এক. পারমাণবিক কর্মসূচির জেরে উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপে বৃদ্ধি এবং দুই. এশিয়ার বাজারে মার্কিন কোম্পানিগুলোর ভালোভাবে প্রবেশের উপায়।
সূত্র : এএফপি।
এসআইএস/এমএস
Advertisement