নেত্রকোনার বারহাট্টা উপজেলার বড়গাঁও গ্রামে আগুনে দগ্ধ গৃহবধূ সঞ্চিতা রানী পাল (৪০) বুধবার ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এর আগে সোমবার পারিবারিক কলহের জের ধরে তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তার দেবর। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই দেবর হরিশ চন্দ্র পালকে ময়মনসিংহ থেকে আটক করে পুলিশ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক বিষয় নিয়ে সঞ্চিতা পালের স্বামী ভুপেন্দ্র পাল ও তার ছোট ভাই হরিশ চন্দ্র পালের সঙ্গে মাঝে মধ্যেই ঝগড়া হতো। সোমবার ঝগড়ার এক পযার্য়ে সঞ্চিতা রানী পালের উপর কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় দেবর হরিশ চন্দ্র পাল।রুমা রানী পাল জাগো নিউজকে জানান, তার কাকা হরিশ চন্দ্র পাল মায়ের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় । প্রতিবেশী সাধন বর্মন জাগো নিউজকে জানান, সঞ্চিতা রানী পালকে দগ্ধ অবস্থায় ঘরের বারান্ধায় পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। পরে তারা তাকে গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়।সঞ্চিতা পালের স্বামী ভুপেন্দ্র পাল ও তার মেয়ে রুমা রানী পাল জাগো নিউজকে জানান, বুধবার ভোরে ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে আগুনে দগ্ধ সঞ্চিতা রানী পাল মারা যান।কামাল হোসাইন/এসএস/এমএস
Advertisement