হাতির যন্ত্রনায় যখন অতিষ্ঠ ভারতের খুঁটির জনগণ ঠিক তখনই ত্রাণকর্তা হয়ে দেখা দিলো উট। খুঁটি অঞ্চলে হাতির উপদ্রপ অনেক আগে থেকেই। সেখানে হাতির দল এসে মানুষের ঘর বাড়ি তছনছ করে যায়। স্থানীয় বনকর্মীরা এর কোনো সমাধানও পাচ্ছিলেন না। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, কিছু দিন আগে, খুঁটি জেলায় একটি গ্রামে ১৪টি হাতির একটি দল ক্রমাগত তাণ্ডব চালায়। কিছুতেই তাদের তাড়ানো যাচ্ছিল না। সেই সময় ওই গ্রামের এক বাসিন্দার দু’টো উট হঠাৎ হাতির সামনে এসে পড়ে। ঠিক তখনই তাণ্ডব বন্ধ করে জঙ্গলে ফিরে যায় হাতির দল।খুঁটির ফরেস্ট অফিসার নওয়াল পাসোয়ান জানান, কয়েক দিন আগে রাঁচির বুন্ডু, তামার ও সোনাহাতু ব্লকের কয়েকটি গ্রামে এক দল হাতি রীতিমতো তাণ্ডব চালাচ্ছিল। খেতের ফসল নষ্ট করা থেকে শুরু করে বাড়িতেও হানা দিয়েছিল। হাতি ঠেকাতে গ্রামবাসীরা বনকর্মীদের ডাকে। বনকর্মীরা তখন পাশের গ্রামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে তিনটি উট আনেন। ওই সময় উট দেখে হাতির দল পালিয়ে যায়।খুঁটির ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার কে কে ত্রিপাঠী বলেন, আমরা কয়েকটি ঘটনায় এমন দেখার পর সরকারের কাছে প্রস্তাব করেছি জেলার ফরেস্ট অফিসগুলোতে কম পক্ষে তিনটে করে উট কিনে দেয়ার।খুটি রাজ্যের অন্যতম হাতি বিশেষজ্ঞ পার্বতী বরুয়া বলেন, হাতির কাছে উট একটি অপরিচিত জন্তু। ঘোড়া দেখলেও ঘাবড়ে যায় হাতি। এ বিষয়ে ফরেস্ট অফিসার ত্রিপাঠী বলেন, হাতির ঘ্রাণশক্তি খুব প্রবল। এমনও হতে পারে যে, উটের গায়ের গন্ধ হাতির পছন্দ নয়। তাই পালাচ্ছে।প্রিন্সিপ্যাল চিফ কনজারভেটর অব ফরেস্ট প্রদীপ কুমার বলেন, ঝাড়খণ্ড বা পশ্চিমবঙ্গের জঙ্গলের মধ্যে হাতিকে কখনও উটের সামনাসামনি পড়তে হয় না। তাই হাতির কাছে অপরিচিত উট। অপরিচিত বড় কোনো জন্তু দেখেই হাতি ভয় পেয়ে পালাচ্ছে বলে মনে হয়।এসকেডি/এমএস
Advertisement