অর্থনীতি

নবান্ন উৎসবে ঢাকা মাতাবে প্রাণ চিনিগুড়া চাল

মঞ্চে গান হবে। আর মঞ্চের বাইরে পিঠা উৎসব। উন্মুক্ত আয়োজনে নবান্নের আনন্দে শিহরিত হবেন ঢাকাবাসী। পুঁথিপাঠ, গাজীর কিসসা, পালাগান, পুতুল নাচ, বায়োস্কোপ, নাগরদোলা, পালকি, লাঠি খেলা ও বানর নাচে নাচবে মানুষও। রাজধানীর ধানমন্ডি লেকের রবীন্দ্র সরোবরে গ্রামবাংলার রূপ মেলে ধরবে ‘প্রাণ চিনিগুড়া চাল নবান্ন উৎসব’।

Advertisement

বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) থেকে রবীন্দ্র সরোবরের মুক্তমঞ্চে তিন দিনব্যাপী এ উৎসব শুরু হচ্ছে। প্রাণ চিনিগুড়ার পক্ষ থেকে এ উৎসবের আয়োজন করা হচ্ছে। উৎসবে আরও থাকবে ঢেঁকি, কুলা, মাথাল ও যাতাকলসহ গ্রাম বাংলার নানা প্রদশর্নী।

এ উপলক্ষে রাজধানীর একটি হোটেলে আজ মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

বঙ্গ মিলারস লিমিটেডের প্রধান পরিচালক মোহাম্মদ শাহান শাহ আজাদ বলেন, কালের বিবর্তনে আমাদের সংস্কৃতি থেকে অনেক ঐতিহ্যবাহী উৎসব হারিয়ে যাচ্ছে। গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী নবান্ন উৎসবকে শহরের মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দিতেই আমাদের এ প্রয়াস।

Advertisement

বঙ্গ মিলারস লিমিটিডের ক্যাটাগরি ম্যানেজার মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, নতুন প্রজন্মকে আমাদের সংস্কৃতির শিকড়ের সঙ্গে গাঁথুনি দিতেই ‘প্রাণ চিনিগুড়া চাল নবান্ন উৎসব’। গতবারের ন্যায় এবারও সবার অংশগ্রহণে উৎসব জাকজমকপূর্ণ হবে বলে বিশ্বাস করি।

স্কলার্স বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী এম ই চৌধুরী শামীম বলেন, বাজার অর্থনীতির কারণে আমরা আমাদের অনেক ঐতিহ্য হারিয়ে ফেলেছি। শহরে থাকলেও আমাদের মন পড়ে থাকে গ্রামে। এখনও মায়ের হাতের সেই পিঠার স্বাদ পেতে ইচ্ছে করে। নতুন প্রজন্মকে নবান্নের স্বাদ দিতে আমাদের এ আয়োজন।

প্রাণ ডেইরি’র হেড অব মার্কেটিং মাকসুদুর রহমান বলেন, দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরতে প্রাণ গ্রুপ নানা আয়োজনে অংশ নিয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় নবান্ন উৎসবের আয়োজন। এ আয়োজনে শহুরে মানুষেরা গ্রামবাংলার ঐতিহ্যের স্বাদ পাবেন।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন এক্সপিইডেভের হেড অব অপারেশন আদিল খান।

Advertisement

তিন দিনের এ আয়োজন প্রতিদিন সকাল আটটা থেকে শুরু হয়ে চলবে রাত আটটা পর্যন্ত। এতে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী গান পরিবেশন করবেন ইন্দ্রমোহন রাজবংশী, ফকির আলমগীর, আবুবকর সিদ্দিক, লিলি ইসলাম, অনিমা রায় ও ফেরদৌসী কাকলীসহ জনপ্রিয় ফোক শিল্পীরা।

এএসএস/এআরএস/এমএস