ইরাক-ইরান সীমান্তবর্তী এলাকায় রোববার রাতে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিনশ ২৮ জন। এছাড়া আহত হয়েছে দুই হাজার পাঁচশ ৩০ জনের বেশি।
Advertisement
আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। সে ক্ষেত্রে নিহতের সংখ্যা আরও বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উদ্ধার তৎপরতা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা এখনও বাড়ছে। গুরুতর আহত অবস্থায় অন্তত তিনশ ৮২ জনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, শক্তিশালী এই ভূমিকম্প ইরাকের উত্তরাঞ্চলের আধা স্বায়ত্তশাসিত এলাকা সুলাইমানিয়ার হালাবজাহ শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় আঘাত হানে।
Advertisement
ইসরায়েল, কুয়েত এবং কাতারেও কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে ক্ষতিগ্রস্তদের বেশিরভাগই ইরানের শহর সারপল-ই যাহাবের বাসিন্দা।
ইরানের গণমাধ্যমগুলোর খবরে উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে বলা হচ্ছে, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ২০০৩ সালে ইরানের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৬ দশমিক ৬ মাত্রার ভূমিকম্পে ২৬ হাজার মানুষ নিহত হয়েছিল। সেই হিসেবে এবারের ভূমিকম্প আরও বেশি শক্তিশালী।
সুলাইমানিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা সোমবার সকালেই জরুরি পরিস্থিতি ঘোষণা করেছেন। এছাড়া তিন দিনের শোক ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে ইরাকে অন্তত সাতজন নিহতের তথ্য জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
তুরস্কের দুর্যোগ এবং জরুরী ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (আফাদ ) এক টুইট বার্তায় জানিয়েছে, তারা ২০ জন উদ্ধারকর্মী ইরাকে পাঠিয়েছে। এছাড়া ত্রাণ বিতরণের কথাও জানিয়েছে তারা।
Advertisement
ইরাকের রাজধানী বাগদাদ থেকে আল জাজিরার ইমরান খান জানান, প্রথমে সেখানকার সবাই ভেবেছিল কোনো বিস্ফোরণ ঘটেছে। কিন্তু ভবনের বাইরে বেরিয়ে আসতেই অন্যদের দেখে ভূমিকম্পের বিষয়টি মাথায় আসে।
তিনি আরও জানান, সেখানে যে ভূমিকম্প হচ্ছে, তা বুঝে উঠতে এক মিনিটের বেশি সময় লেগে গেছে।
সূত্র : আল জাজিরা
কেএ/আরআইপি