ইখলাস তথা একনিষ্ঠ ইবাদত ছাড়া বান্দার কোনো আমলই গ্রহণযোগ্য নয়। আর এ কারণেই আল্লাহ তাআলা সুরা যুমারে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়অ সাল্লামকে লক্ষ্য করে ঘোষণা করেন, ‘(হে নবি) আপনি ইখলাসের সঙ্গে আল্লাহর ইবাদত করুন। জেনে রাখুন! ইখলাসপূর্ণ ইবাদতই আল্লাহর জন্য।’
Advertisement
আল্লাহ তাআলা ইখলাসপূর্ণ ইবাদতকেই তাঁর জন্য স্বীকৃতি প্রদান করেছেন। ইবাদত অল্প হোক আর বেশি হোক; ছোট হোক আর বড় হোক; তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হতে একনিষ্ঠতা যেমন জরুরি তেমনি তা শিরকমুক্ত হওয়াও জরুরি।
আল্লাহ তাআলা ইখলাসপূর্ণ ইবাদতকারীর জন্য জান্নাতের ঘোষণা দিয়েছেন। যে ব্যক্তি দুনিয়ার লোভ লালসা থেকে নিজেকে হেফাজত করে ইসলামের যাবতীয় বিধি-বিধান যথাযথ ইখলাসের সঙ্গে আদায় করবে এবং নিজের কুপ্রবৃত্তিগুলোকে ত্যাগ করতে পারবে তারাই জান্নাত লাভ করবে।
ইউসুফ ইবনে হুসাইন রাজী বলেন, ‘দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন কাজ হল ইখলাস তথা একনিষ্ঠতার ওপর অটল থাকা। আমি আমার অন্তর থেকে রিয়া তথা লোক দেখানো ভাবনা দূর করার জন্য অনেক প্রচেষ্ট করি। এ রিয়া আমার অন্তর দূর হয় ঠিকই সে পুনরায় ভিন্ন আকৃতিতে ভিন্ন রূপে আবার উপস্থিত হয়।
Advertisement
এ কারণে প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তাআলার দরবারে অধিকাংশ সময় দোয়া করতেন-
‘হে অন্তরের পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের ওপর অবিচল রাখুন।’ (তিরমিজি)
আল্লাহ তাআলা ইখলাস অবলম্বনকারীর জন্য জান্নাতের ঘোষণা দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘কিন্তু তারা নয়, যারা আল্লাহর একনিষ্ঠ (ইখলাস অবলম্বনকারী) বান্দা। তাদের জন্য রয়েছে নির্ধারিত রিজিক; ফলমূল, তারা হবে সম্মানিত; থাকবে সুখ কাননে। (সুরা সাফফাত : আয়াত ৩০-৪৩)
একটি প্রবাদ বাক্য আছে-‘সব মানুষ ধ্বংস হয়ে যাবে, তবে যারা কাজ করছে, তারা বেঁচে যাবে। যারা কাজ করছে তারাও ধ্বংস হয়ে যাবে; তবে যারা ইখলাসের সঙ্গে (মনোযোগের সঙ্গে আল্লাহর জন্য) কাজ করছে, তারা মুক্তি পাবে।’
Advertisement
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে মনোযোগের সঙ্গে শুধুমাত্র তার নৈকট্য লাভে ইবাদত-বন্দেগি করার মাধ্যমে জান্নাত লাভ করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এমএমএস/এমএস