খ্যাতনামা ও তৎকালীন পিজি হাসপাতালে চিকিৎসক মৃত প্রফেসর ডা. শেখ আবদুস সোবহানের স্ত্রী সাফাত আরা সোবহানে ভরণ-পোষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী সাতদিনের মধ্যে সমাজ সেবা অধিদফতরের ডিজিকে (মহাপরিচালক) এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে এবং একই সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
Advertisement
আদালতের অপর এক নির্দেশনায় রাজধানীর বনানীর ১১নং রোডের এম ব্লকের ৭৮নং বাড়িটি যাতে কেউ হস্তান্তর করতে না পারে বা মরগেজ না দিতে পারে সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চেয়ারম্যান ও পরিচালক) অ্যাস্টেটকে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত রুল জারি করেছেন আদালত।
রুলে সাফাত আরা সোবহানের (অসহায় বৃদ্ধা মা) জীবন ও সম্পত্তির অধিকার রক্ষায় কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে অপর রুলে অসহায় মানুষদের জন্য আলাদা ডিপার্টমেন্ট সৃষ্টি করার জন্য কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদেরকে ওই রুলের জবাব দিতে হবে।
জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার (১৩ নভেস্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এবং তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈ। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী ডেপুর্টি অ্যার্টনি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
Advertisement
অসহায় বৃদ্ধাকে নিয়ে রিটকারী আইনজীবী মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের জানান, সম্প্রতি এক দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ রুলসহ এসব আদেশ দেন।
প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানেরা সৎমা বলে সাফাত আরা সোবহানকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। অসহায় অবস্থায় রাস্তায় ঘোরা ফেরা করার পর তিনি মহিলা পরিষদ ও আইন সালিস কেন্দ্রের সহযোগিতা চান। মাহিলা পরিষদের পক্ষ থেকে তার সন্তানদের ডেকে এনে কিছু দিনের ভরণ পোষণের ব্যবস্থা করেন। তবে ভরণ পোষণের জন্য দেওয়া অর্থ শেষ হওয়ার পর তিনি আবারও অসহায় ও নিরাপত্বাহীন হয়ে পড়েন।
এ অবস্থায় ‘বৃদ্ধাশ্রমের এক মায়ের আকুতি’ ‘স্বামীর দেড়শ কোটি টাকার সম্পদ ডাক্তার ছেলের দখলে’ শিরোনামে দৈনিকে সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। প্রকাশিত এসব প্রতিবেদন সংযুক্ত করে রিট করা হয়।
এফএইচ/আরএস/আরআইপি
Advertisement