ছেলের হাতে এখনই সিংহাসন ছেড়ে দেয়ার পরিকল্পনা নেই সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদের। রিয়াদের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। খবর ব্লুমবার্গ।
Advertisement
গত শনিবার রাতে সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে শুরু হওয়া দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে এখন পর্যন্ত ২০১ জনকে আটক করা হয়েছে। দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের প্রথম দিনেই ১১জন প্রিন্স, চারজন মন্ত্রী, বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী এবং সাবেক মন্ত্রীকে আটক করা হয়।
আটক হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন, ধনাঢ্য ব্যবসায়ী প্রিন্স আলওয়ালেদ বিন তালাল, প্রিন্স মিতেব বিন আবদুল্লাহ এবং তার ভাই প্রিন্স তুর্কি বিন আবদুল্লাহ।
দুর্নীতি অভিযানের নামে ক্ষমতাধর প্রিন্সদের আটকের ঘটনায় নড়েচড়ে বসেছে সৌদি। বিশ্লেষকরা মনে করছেন ক্ষমতা কুক্ষিগত করতেই এ ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছেন ক্রাউন প্রিন্স। কিন্তু বাদশাহ সালমান এখনই সিংহাসন ত্যাগ করবেন না এমন খবরে সব ধরনের জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটেছে।
Advertisement
একটি লিখিত প্রশ্নের জবাবে এক কর্মকর্তা বলেন, বাদশাহ সালমানের এখনই সিহাংসন ছাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও সৌদি বাদশাহরা সাধারণ ক্ষমতা ছাড়েন না। বাদশাহ ফাহাদ ২০০৫ সালে অর্থাৎ তার মৃত্যু আগ পর্যন্তই ক্ষমতায় ছিলেন।
বাদশাহ সালমানের (৮১) ক্ষেত্রে এখনই সিংহাসন ছাড়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। কারণ স্বাস্থ্যগত এবং মানসিক দিক থেকে তিনি পুরোপুরি সুস্থ এবং স্বাভাবিক রয়েছেন। এছাড়াও রাজকাজ তিনি বেশ উপভোগও করছেন।
গত জুনে চাচাতো ভাইকে সরিয়ে ৩২ বছর বয়সী প্রিন্স সালমানকে ক্রাউন প্রিন্স করা হয়। তারপর থেকে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছেছেন তিনি। এদিকে, গত সপ্তাহে দুর্নীতির অভিযোগে প্রিন্স মিতেব বিন আবদুল্লাহকে ন্যাশনাল গার্ডের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে ধারণা করা হচ্ছিল হয়তো খুব শিগগিরই সিংহাসনে বসতে চলেছেন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।
সরকারের প্রায় সব পর্যায়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছেন এই ক্রাউন প্রিন্স। বর্তমানে তিনি প্রতিরক্ষা, তেল এবং অর্থনৈতিক নীতিমালা পরিচালনা করছেন। তেলনির্ভর সৌদির অর্থনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন এনে দেশকে মধ্যমপন্থী ইসলামিক দেশে পরিণত করার প্রতিজ্ঞা গ্রহণ করেছেন তিনি।
Advertisement
টিটিএন/এমএস