দেশজুড়ে

আমরা অস্ত্র জমা দিয়েছি, কিন্তু প্রশিক্ষণ রয়ে গেছে : জনসংহতির নেতা

`শান্তিচুক্তির পূর্ণবাস্তবায়ন না হলে পার্বত্য চট্টগ্রাম তুষের আগুন হয়ে জ্বলবে` সরকারকে এমন হুশিয়ার করে জনসংহতি সমিতির নেতারা বলেছেন, যা একবার জ্বলে উঠলে কোনোমতেই নেভানো যাবে না। আর তার সব দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে।মঙ্গলবার পার্বত্য শান্তি চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়নের দাবি আদায়ে চলমান অসহযোগ আন্দোলন জোরদার করতে কাপ্তাইয়ে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে জনসংহতি সমিতির নেতারা এ হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকার শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে নানা তালবাহানা করছে। দাবি আদায়ে জনসংহতি সমিতির নেতৃত্বে প্রয়োজনে আবারো অস্ত্র হাতে তুলে নিতে বাধ্য হবে জুম্ম জনগণ। আমরা অস্ত্র জমা দিয়েছি, কিন্তু প্রশিক্ষণ রয়ে গেছে। সরকারকে এ বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত।সকাল ১১টায় জনসংহতি সমিতির কাপ্তাই থানা শাখার উদ্যোগে উপজেলা সদরে এক যৌথ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি কাপ্তাই উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে ওয়াগ্গা ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের থানা শাখার সভাপতি বিক্রম মারমা। সাধারণ সম্পাদক সাইমং মারমার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত ওই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সহ-সভাপতি মংনুংচিং মারমা, জন চাকমা, সাংগঠনিক সম্পাদক খ্যাইচাঅং মারমা, জেলা যুব সমিতি নেতা মেফামং মারমা, সুইপ্রু মারমা, পিসিপির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অরুণ ত্রিপুরা, যুবসংহতির সভাপতি চাথোয়াইমং মারমা, উপজেলা পিসিপির সাধারণ সম্পাদক ধনঞ্জয় তঞ্চঙ্গ্যা, সভাপতি এচিমং মারমাসহ অন্যরা। বক্তারা অবিলম্বে  জনসংহতি সমিতির দাবি মেনে নিতে সরকারের কাছে সেগুলো তুলে ধরে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে। আর নয় কালক্ষেপণ, এবার চাই চুক্তির পূর্ণবাস্তবায়ন। ভূমি কমিশন আইন সংশোধন করতে হবে। অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পগুলো প্রত্যাহার করতে হবে। অপারেশন উত্তরণ বন্ধ করতে হবে।সুশীল প্রসাদ চাকমা/এমজেড/এমআরআই

Advertisement