ধর্মীয় নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অপহরণ করে তুরস্কে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের সাম্প্রতিক এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাবেক নিরাপত্তা উপদেষ্টা এরকম একটি পরিকল্পনা নিয়ে তুরস্কের কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করেছিলেন।
Advertisement
ওই পরিকল্পনা অনুযায়ী, চলতি বছরের মার্চে গুলেনকে একটি ব্যক্তিগত বিমানে করে তুরস্কের ইমরালি দ্বীপে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। এর বিনিময়ে ফ্লিনকে এক কোটি ৫০ লাখ ডলারের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপের অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে সম্প্রতি বেশ চমকপ্রদ কিছু তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
এনবিসি বলছে, ফ্লিন যখন হোয়াইট হাউসে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ছিলেন, তখন তিনি ফেতুল্লাহ গুলেনকে তুরস্কে ফিরিয়ে দেবার জন্য চেষ্টা করেছিলেন কিনা তারও তদন্ত করা হচ্ছে।
Advertisement
সিআইএর সাবেক পরিচালক জেমস উলসি বলেন, তিনি নিউইয়র্কের একটি হোটেলে এরকম এক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু ওয়াশিংটনের তুর্কী দূতাবাস এ খবরকে সম্পূর্ণ মিথ্যা, হাস্যকর ও ভিত্তিহীন বলে বর্ণনা করেছে।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্র নিযুক্ত তুর্কি দূতাবাস বলেছে, তুরস্ক ফেতুল্লাহ গুলেনকে বিচারের জন্য ফেরত চায় কিন্তু আইনবিরুদ্ধ কোন পথে নয়। ফ্লিনের আইনজীবীও এরকম দাবির কথা জোর দিয়ে অস্বীকার করেছেন।
গত বছরের জুলাই মাসে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের বিরুদ্ধে যে অভ্যুত্থানের প্রচেষ্টা চালানো হয়েছিল তার পেছনে ফেতুল্লাহ গুলেনের ভুমিকা রয়েছে বলে বরাবরই অভিযোগ করে আসছে আংকারা।
বিচারের জন্য গুলেনকে তুরস্কের হাতে তুলে দেবার জন্য একাধিকবার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান। গুলেন বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ায় বসবাস করছেন।
Advertisement
টিটিএন/জেআইএম