অর্থনীতি

বেবিচকের আয় বেড়েছে ২২৬ কোটি টাকা

২০১৫-১৬ অর্থবছরে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ বেবিচকের আয় ছিল ১ হজার ৩৩০ কোটি ৭ লাখ টাকা। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে সেটি বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ৫৫৬ কোটি ৩ লাখ টাকা। সেই হিসাবে গত অর্থবছরে বেবিচকের আয় বেড়েছে ২২৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। তবে ব্যাংকের সুদের হার কমায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে নন-এরোনটিক্যাল খাত থেকে সুদ বাবদ বেবিচকের আয় কমে হয়েছে ১৩৪ কোটি টাকা। যা আগের অর্থবছরে (২০১৫-১৬) ছিল প্রায় ১৫৩ কোটি।

Advertisement

২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে বেবিচকের মোট রাজস্ব আয়ের বিপরীতে রাজস্ব ব্যয় হয়েছে ৯৪২ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এ ছাড়া সরকারকে লভ্যাংশ দেয়া বাবদ ব্যয় হয়েছে ১২০ কোটি টাকা। ওই অর্থবছরে সব ব্যয়ের পর সংস্থাটির উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ৬১৪ কোটি টাকা।

২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বেবিচকের মোট রাজস্ব আয়ের বিপরীতে রাজস্ব ব্যয় হয়েছে ৬৩২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। এছাড়া সরকারকে লভ্যাংশ দেয়া বাবদ ব্যয় হয়েছে ১০৫ কোটি টাকা। ওই অর্থবছরে সব ব্যয়ের পর সংস্থাটির উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ৫৯২ কোটি ৬৭ লাখ টাকা।

আর ২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে বেবিচকের মোট রাজস্ব আয়ের বিপরীতে রাজস্ব ব্যয় হয়েছে ৪৮১ কোটি ১৩ লাখ টাকা। এছাড়া সরকারকে লভ্যাংশ দেয়া বাবদ ব্যয় হয়েছে ৫৫ কোটি টাকা। ওই অর্থবছরে সব ব্যয়ের পর সংস্থাটির উদ্বৃত্তের পরিমাণ ছিল ৬৮৪ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

Advertisement

পূর্বের বছরগুলোর তুলনায় রাজস্ব আয় বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বেবিচকের সদস্য (অর্থ) মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, কাজের পরিধি বাড়ায় স্বাভাবিকভাবেই আয়ের ক্ষেত্র বেড়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন খাত থেকে পাওনা আদায়ে কর্তৃপক্ষের কঠোর অবস্থানও রাজস্ব আয় বাড়ার একটি কারণ। তবে ব্যাংকের সুদের হার কমায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে নন-এরোনটিক্যাল খাত থেকে সুদ বাবদ বেবিচকের আয় কমে হয়েছে ১৩৪ কোটি টাকা। যা আগের অর্থবছরে (২০১৫-১৬) ছিল প্রায় ১৫৩ কোটি।

উল্লেখ্য, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে কার্যক্রম পরিচালনা করা দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্স থেকে পাওয়া ফ্লাইটের অ্যারোনটিক্যাল, উড়োজাহাজের ল্যান্ডিং ও পার্কিংসহ অন্যান্য চার্জ বেবিচকের রাজস্ব আয়ের অন্যতম উত্স। সংস্থাটি দেশি-বিদেশি বিভিন্ন এয়ারলাইন্সকে ফ্লাইট পরিচালনা করার জন্য অ্যারোনটিক্যাল ও নন-অ্যারোনটিক্যাল চার্জ প্রয়োগ করে থাকে।

আরএম/এআরএস/জেআইএম

Advertisement