দেশজুড়ে

কিশোরীগঞ্জ থানার ওসির বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের তদন্ত

নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে টাকা ছাড়া মামলার রুজু না করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাদী ইদ্রিস আলী পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করলে পুলিশ সুপারের নির্দেশে একটি তদন্ত কমিটি সোমবার ২৯ জুন দিনভর সরেজমিনে তদন্ত করেছে। অভিযোগে জানা যায়, চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল জমি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছিল গদা গ্রামের মৃত আজগার আলীর ছেলে ইদ্রিস আলীর সঙ্গে একই গ্রামের গোলজার আলীর ছেলে আব্দুল হালিমের। ওই ঘটনায় ইদ্রিস আলী গুরুতর আহত হয়ে কিশোরীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে দশ দিন চিকিৎসা গ্রহণ করেন। চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে গত ২৮ এপ্রিল আব্দুল হালিমসহ সাত জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়েরের জন্য একটি লিখিত এজাহার প্রদান করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজার রহমান মামলাটি রুজু করার আশ্বাস প্রদান করে সময় অতিবাহিত করতে থাকেন। বাদী মামলা রুজুতে বিলম্ব কেন হচ্ছে ওসির কাছে জানতে চাইলে ওসি বাদীর কাছে মামলা রুজুর জন্য ১০ হাজার টাকা দাবি করেন। বাদীর অভিযোগ ওসিকে ঘুষের টাকা না দেয়ায় তার মামলাটি দায়ের করেননি ওসি। এই অভিযোগ তুলে বাদী ইদ্রিস আলী গত ২৭ নীলফামারী পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত আবেদন করেন। সেই অভিযোগটিও পুলিশ সুপার কার্যালয়ে দীর্ঘ দিন পড়ে ছিল। সম্প্রতি নীলফামারীতে নতুন পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান যোগদান করলে বাদী ইদ্রিস আলী তার সঙ্গে দেখা করে বিষয়টি তুলে ধরেন। ফলে নবাগত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন খান তাৎক্ষণিকভাবে নীলফামারী ইন সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের পরিদর্শক সহিদার রহমানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্ত কমিটি ২৯ জুন সোমবার দিনভর ঘটনাস্থল কিশোরীগঞ্জ থানায় উপস্থিত হয়ে তদন্ত করে নীলফামারী ফিরে যায়।মঙ্গলবার তদন্ত কর্মকর্তা সহিদার রহমানের মুঠোফোনে সাংবাদিকদের তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত রিপোর্ট পুলিশ সুপারের কাছে জমা দেয়া হবে। তবে তিনি তদন্তে কী পেয়েছেন তা জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।এ ব্যাপারে কিশোরীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান সাংবাদিকদের বলেন, বাদী ইদ্রিস আলী তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছেন তা সঠিক ছিল না। অপর দিকে বাদী ইদ্রিস আলী সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটি ঘটনার সত্যতা পেয়ে সাক্ষ্য প্রমাণ নিয়ে চলে গেছেন। এখন রিপোর্ট দিলেই সব জানা যাবে। জাহেদুল ইসলাম জাহিদ/এমজেড/এমআরআই

Advertisement