টি-টোয়েন্টিতে ১১৫ রানের পুঁজি নিয়ে লড়া খুব কঠিন। কঠিন সে কাজটি করতে হলে অবিশ্বাস্য কিছুর দরকার হয়। সে অবিশ্বাস্য কিছুর দেখা পাচ্ছে না রাজশাহী কিংস। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ১০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৭২ রান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের। জয়ের জন্য ৬০ বলে মাত্র ৪৩ রান দরকার মোহাম্মদ নবীর দলের।
Advertisement
উইকেটে আছেন ইমরুল কায়েস আর জস বাটলার। কায়েস ২৩ বলে করেছেন ২১ রান। বাটলার ২৫ বলে ২৭ রান। ১২ বলে ২৩ রানের এক ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হয়েছেন লিটন দাস।
আগের ম্যাচেই শক্তিশালী রংপুর রাইডার্সকে বড় ব্যবধানে হারিয়ে বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিল রাজশাহী কিংস। সেই রাজশাহীকেই মাটিতে নামিয়ে নিয়ে আসলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ২০ ওভারে ৭ উইকেটে হারিয়ে মাত্র ১১৫ রান তুলতে পারে মুশফিকুর রহিমের দল।
টস হেরে রাজশাহীর হয়ে ওপেন করতে আসেন তাদের নিয়মিত দুই ওপেনার মুমিনুল হক ও লেন্ডল সিমন্স। দু'জনে মিলে গড়ে ফেলেন ২৩ রানের জুটি। তবে এ জুটিকে বেশিদূর আগাতে দেননি কুমিল্লার দলপতি মোহাম্মদ নবী। তুলে নেন ২ রান করা মুমিনুলের উইকেট।
Advertisement
এরপর রনি তালুকদারকে কোনো রান করার আগেই ফেরান আল-আমিন হোসেন। মুশফিকুর রহিমও ফিরে যান ১৬ রানে। তবে একপাশ আগলে খেলে যাচ্ছিলেন সিমন্স। কিন্তু বিধি বাম। হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটে তিনি মাঠের বাইরে চলে গেলেন। ইনজুরিতে পরার আগে তিনি ছিলেন ২৩ বলে ৪০ রানে। ওটাই শেষপর্যন্ত রাজশাহীর হয়ে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ।
এরপর আর তেমন কোন ব্যাটসম্যান দাঁড়াতে পারেনি। শেষ সময়ে ফরহাদ রেজার ২৫ রান করে কোনোমতে দলকে ১০০ রান পার করতে সাহায্য করেন।
বোলারদের মধ্যে মোহাম্মদ নবী ৩টি ও রশিদ খান ২টি উইকেট নিয়েছেন। ব্রাভো আর আল-আমিন একটি করে উইকেট পেয়েছেন।
এমএমআর/জেআইএম
Advertisement