খেলাধুলা

শুরুতেই মুখোমুখি সানডে-ওয়েডসন

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের দ্বিতীয় পর্বে দর্শকদের প্রত্যাশার আলো বেশি থাকবে ওয়েডসন আনসেলমে এবং সানডে সিজোবার ওপর। এ দুই ভীনদেশিই যে কোনো সময় ম্যাচের চিত্র বদলে দিতে পারেন। ঢাকার ফুটবলে তাতের অতীত সে সাক্ষীই তো দিচ্ছে।

Advertisement

নাইজেরিয়ান সানডের পারফরম্যান্স তো এখনো চোখে লেগে আছে আবাহনীর সমর্থকদের। গত মৌসুমে আবাহনী যে প্রিমিয়ার লিগের পঞ্চম শিরোপা ঘরে নিয়েছিল তার সিংহভাগ অবদান সানডের। আকাশি-হলুদ জার্সি গায়ে হয়েছিলের সর্বোচ্চ (১৯টি) গোলদাতা।

তার আগের মৌসুমে শেখ জামালকে চ্যাম্পিয়ন করিয়েছিলেন ওয়েডসন। তিনি করেছিলেন লিগের সর্বোচ্চ ২৬ গোল।

দশম প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের দ্বিতীয় পর্বে পা পড়ছে পরীক্ষিত এ স্ট্রাইকারদ্বয়ের। সানডে নামবেন পুরোনো জার্সিতেই, ওয়েডসনের নতুন দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।

Advertisement

সানডেকে আবাহনী প্রথম পর্বে পায়নি ইনজুরির কারণে। আর ওয়েসন ছেড়ে এসেছেন কলকাতার জায়ান্ট ইস্টবেঙ্গল। দুই মৌসুম আগে শেখ জামাল ছেড়ে কলকাতায় পাড়ি জমিয়েছিলেন ওয়েডন।

এবার তাকে ঢাকায় ফিরিয়ে এনেছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবাগত দল সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ৬ মাসের জন্য ৫৫ লাখ টাকায় এ হাইতিয়ানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে সাইফ।

প্রথম পর্ব শেষ, আবাহনী ও সাইফ পয়েন্ট টেবিলের তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে। অভিষেকেই ট্রফি জয়ের বাসনা পূরণ করতে সাইফ যেমন শক্তি বাড়িয়েছে ওয়েডসনকে দলভূক্ত করে, তেমন আবাহনীও শিরোপা ধরে রাখার লক্ষ্যে ফিরিয়ে এনেছে তাদের পুরোনো গোলমেশিন সানডেকে। তারা কি পারবেন ক্লাব কর্মকর্তা আর সমর্থকদের প্রত্যাশা মেটাতে?

লিগের বাকি ১১ ম্যাচে তাদের পারফরম্যান্সের ওপরই নির্ভর করবে ক্লাব দুটির ভাগ্য। ঢাকার মাঠ কাঁপানো পুরনো এ দুই তারকা পরীক্ষায় নামবে ফিরতি লিগের প্রথম দিনই। তাও আবার প্রতিপক্ষ হিসেবে।

Advertisement

শিরোপার দৌড়ে আবাহনী ভালোভাবে ফিরবে, নাকি সাইফ? সোমবার এ দুই দলের লড়াইয়ের পরই বোঝা যাবে সেটা। আবাহনী জিতলে উঠে যাবে শীর্ষে, সাইফ জিতলে আসন নেবে দ্বিতীয় স্থানে।

আর ম্যাচ ড্র হলে মাঠের বাইরে বসে হাসবেন চট্টগ্রাম আবাহনী ও শেখ জামালের কর্মকর্তারা। সে ক্ষেত্রে আবাহনী এক ম্যাচ বেশি খেলে পেছনে ফেলবে শেখ জামালকে, সাইফের অবস্থান থাকবে চারেই।

আরআই/এমএমআর/জেআইএম