ঈদকে সামনে রেখে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত পয়েন্টগুলো দিয়ে ব্যাপকহারে ভারতীয় ফেনসিডিল আসছে। গত ৬ মাস ধরে ফেনসিডিল পাচারের ঘটনা উদ্বেগজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। চোরাচালানিরা নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করে সীমান্তরক্ষীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে উপজেলার বেনীপুর, মেদেনীপুর, হরিহরনগর, গয়েশপুর, নতুনপাড়া, ধোপাখালী, রাজাপুর ও সিংনগর সীমান্ত দিয়ে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল ভারত থেকে পাচার করে আনছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক মাদক ব্যবসায়ী জাগো নিউজকে জানান, বাংলাদেশে ফেনসিডিলের ব্যাপক চাহিদাকে কেন্দ্র করে ভারতের সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে নকল ফেনসিডিল তৈরির কারখানা গড়ে উঠেছে। রাত ১০টায় বিএসএফ সীমান্তের সার্চলাইটগুলো বন্ধ করে দেয়ার পর উপজেলার ৮টি সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের সহযোগিতায় দু’দেশের মাদক চোরাচালানিদের হাট বসে। পরে এ দেশের মাদককারবারিরা পাচার করে আনা ফেনসিডিল উপজেলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলোতে মজুদ করে রাখেন এবং সময়-সুযোগ বুঝে মাদক ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে দূরপাল্লার বাস, ট্রাক ও রোগীদের অ্যাম্বুলেন্সে করে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে পাঠিয়ে দেন। এছাড়া উপজেলার বিভিন্ন স্পটে এবং শহরে ফেরি করে ফেনসিডিল বিক্রি করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরও মাদক বিক্রিতে জড়ানো হচ্ছে। এমনকি ফেনসিডিল বহনের কাজে শিশুদেরও ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশের সরকারি একটি গোয়েন্দা সংস্থার দেয়া তথ্যমতে উপজেলায় ৮৫ জন মাদক ব্যবসায়ী রয়েছে। তারাই মূলত জীবননগর উপজেলার মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করেন। তারা হলেন, হরিহরনগর গ্রামের মশিউর রহমান, নবান ইমরান হোসেন টিটো, হাকিম, সৈয়দ, মফি, চনা, রানা, কালু, জাহিরুল, রেজাউল, আইজুল, রানা ভাংড়ী, ইকবাল, মোনে, বসির, সাইদুর, খোকন, রাজু, সাজু, ফোনে, চান্দু, মোক্তার, আতি, আনার, মাধবখালী গ্রামের ইয়ার আলী, কদর আলী, বুড়ো খাঁ, ফিরোজ, লাভলুসহ অনেকে।সালাউদ্দীন কাজল/এমজেড/পিআর
Advertisement