চার ওভার বল করে ৩৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৪টি উইকেট। মূলতঃ একা এক আবু জায়েদ রাহীর এমন দুর্ধর্ষ বোলিংয়ের কাছেই হেরে বসে চিটাগং ভাইকিংস। খুলনা টাইটান্সকে জিতিয়ে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে রাহী জানালেন এমন বোলিংয়ের রহস্যের কথা। তিনি জানিয়েছেন, ‘পরিকল্পনা কাজ দিয়েছে। এ কারণেই ভাল হয়েছে।’
Advertisement
কী এমন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছিলেন রাহী? সেটাই জানালেন তিনি, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল জায়গায়মত বোলিং করা। আর সুইং পেলে বলে সুইং করানো। একই লাইন এবং লেন্থে বল করে যাওয়া। ভালো কাজ হয়েছে তাতে। অনেক ভালো হয়েছে।’
চার ওভারে রানটা বেশি দিলেও উইকেট পাওয়ায় খুশি এ পেসার। তার মতে, ‘এটা আমার কাছে নতুন অভিজ্ঞতা। চারটা উইকেট পেয়েছি, ভালো হয়েছে। যদিও খরুচে স্পেল ছিল। তারপরও ভালো হয়েছে।’
মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা ভালো করায় রান উঠেছে ভালো। এ কারণে বোলারদের ওপর চাপ ছিল কম। সুতরাং, বল হাতে বোলাররাও ভালো বল করতে পেরেছে বলে মনে করেন রাহী। তিনি বলেন, ‘গতকাল যে পিচে খেলা হয়েছে, আজ সে পিচে খেলা হয়নি। প্রথমদিকে আমাদেরই এ ধরনের সমস্যা হয়েছে। তখন আমাদের মনে হয়েছে, পরের দিকে ব্যাটিং করলে ভালো। আমাদের মিডল অর্ডাররা ভালো ব্যাট করেছে, যার জন্য বোলারদের ওপর চাপ ছিল কম এবং তারা ভালো বল করতে পেরেছে। তো আমার মনে হয় না আগে-পরে ব্যাট করালে কিছু সমস্যা তৈরি হয়ই।’
Advertisement
বিপিএলে ব্যাটসম্যানদের চেয়ে দেশীয় বোলাররাই ভালো করছে। এর কী কারণ? জানতে চাইলে রাহী বলেন, ‘আমাদের বোলারদের মধ্য এ প্রতিযোগিতাটা একটু বেশি। আমি, তাসকিন, রনি বা অন্য সবার মধ্যে প্রতিযোগিতাটা একটু বেশি।’
জাতীয় লিগের চেয়ে বিপিএলে পারফর্ম করতেই নাকি বেশি ভালো লাগে রাহীর। কারণটাও জানালেন হাসতে হাসতে। বললেন, ‘জাতীয় লিগে সত্যিই পারফরম করি অনেক; কিন্তু মিডিয়া কাভারেজ কম থাকে । আর এখানে (বিপিএল) পারফরম করলে ফেসবুক থেকে শুরু করে মিডিয়া কাভারেজ বেশি হয়। তাই বেশি ভালো লাগে।’
ঘরের মাঠ সিলেটে নাই টিকিট প্রত্যাশীদের চাপে ভালো করতে পারেননি রাহী। কৌতুক করে তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে ওখানে (সিলেটে) একটু হোম প্রেসার ছিল। তার ওপরে টিকিটের চাপ ছিল। হয়তো বা এজন্য পারফরমেন্স ভালো হয়নি।’
এমএএন/আইএইচএস/আরআইপি
Advertisement