সৌদি আরব ত্যাগ করে যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশে ফিরলে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারেন ইয়েমেনের প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল-হাদি। দেশটির শীর্ষ এক কর্মকর্তা এ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বলে রোববার কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
Advertisement
ওই কর্মকর্তা বলেছেন, দেশে ফিরলে হাদির জীবন হুমকির মুখে পড়তে পারে। ইয়েমেনের উপকূলীয় শহর এডেনে না ফিরতে ৭২ বছর বয়সী এই প্রেসিডেন্টকে না ফেরার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
হাদিকে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছে চলতি সপ্তাহের শুরুতে গণমাধ্যমের প্রকাশিত খবরকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতি না থাকায় নাম প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়ে ইয়েমেনের ওই কর্মকর্তা বলেন, হাদিকে গৃহবন্দি করে রাখার দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
‘হাদি চাইলে যেকোনো জায়গায় যেতে পারেন, তিনি বিদেশ সফরেও যেতে পারেন। কিন্তু আমি যা বুঝেছি ইয়েমেনে ফিরলে তার জীবন হুমকিতে পড়ার শঙ্কা রয়েছে।’
Advertisement
হাদির পূর্বসুরী সাবেক প্রেসিডেন্ট আলি আব্দুল্লাহ সালেহর অনুগত সেনাবাহিনীর সহায়তায় ২০১৫ সালে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুথি ইয়েমেনের রাজধানী সানাসহ দেশটির বিশাল একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়। তখন থেকেই হাদি এবং তার সরকারের অনেক কর্মকর্তাই সৌদি আরবে আশ্রয় নেন।
ইয়েমেনের ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘এমন অনেক শক্তি আছে যারা তাকে লক্ষ্য বানাতে চায়। আর এ কারণেই তার (হাদির) দেশে ফেরাটা ঠিক হবে না বলে মনে করে সৌদি আরব। নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত তাকে সৌদিতে থাকার আহ্বান জানিয়েছে তারা।’
২০১৫ সালে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোট সমর্থিত প্রেসিডেন্ট আব্দ রাব্বু মনসুর আল হাদি হুথি বিদ্রোহীদের হামলার মুখে দেশত্যাগে বাধ্য হন। পালিয়ে থাকায় ইয়েমেনের নির্বাসিত এই প্রেসিডেন্টকে ফের ক্ষমতায় বসানোর লক্ষ্যে একই বছরের ২৫ মার্চ থেকে হুথি বিদ্রোহীদের ওপর হামলা শুরু করে সৌদি জোট। জোটের হামলায় এখন পর্যন্ত অন্তত ১২ হাজার ইয়েমেনি নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে হাজার হাজার নারী ও শিশু রয়েছে। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন দেশটির লাখ লাখ মানুষ।
এসআইএস/জেআইএম
Advertisement