দেশজুড়ে

পাবনা চিনি মিলে লাভের দেখা নেই : বেতন বন্ধ ৩ মাস

চালুর পর থেকে এ যাবৎ লাভের মুখ না দেখলেও পাবনা চিনি মিলের কার্যক্রম থেমে নেই। ২০০ কোটি টাকা লোকসান থাকার পরও প্রতিবছর এ বোঝা ভারি হচ্ছে। কোনো বছরই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে না পারা এ মিলটির গুদামে বর্তমানে পড়ে আছে ১০ হাজার মেট্রিকটন চিনি। যার দাম ৩৭ কোটি টাকা।অন্যদিকে অর্থাভাবে শ্রমিক-কর্মচারীদের গত তিন মাসের বেতন বকেয়া পড়েছে। টাকার প্রয়োজনে যারা চিনি চাচ্ছেন তাদেরকে বেতনের বিপরীতে চিনি দেয়া হচ্ছে। তবে এ চিনি দালালদের কাছে বিক্রি করে আবারো লোকসান গুণছেন শ্রমিক-কর্মচারীরা।এ অঞ্চলে আখ আবাদের ভালো সম্ভাবনার কথা বিবেচনা করে ১৯৯২ সালের ২৭ ডিসেম্বর ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়ায় ৬০ একর জমির উপর পাবনা সুগার মিল প্রতিষ্ঠা করা হয়। ১৫ হাজার মেট্রিকটন চিনি উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন এ মিলটি প্রতিষ্ঠায় সরকারের ব্যয় হয় ১০১ কোটি টাকা। ১৯৯৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর ১৯৯৭-৯৮ মাড়াই মৌসুমে পরীক্ষামূলকভাবে উৎপাদনের মাধ্যমে মিলটি যাত্রা শুরু করে। ১৯৯৮-৯৯ সালে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চিনি উৎপাদন করতে গিয়ে পাবনা সুগার মিল প্রথমেই হোঁচট খায়। ওই বছর লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক উৎপাদন করে মিলটি। এরপর থেকে আর লাভের মুখ দেখেনি এ মিল। ২০১১ সালে বড় ধরনের লোকসান দেয় পাবনা সুগার মিল।বিগত ২০ বছরে এই মিলটি লোকসান দিয়েছে ২শ কোটি টাকা। এই মিলের আওতাধীন মুলাডুলি ইক্ষু খামারসহ সাঁড়া গোপালপুর, মাঝদিয়া ও গোকুলনগর কেন্দ্র প্রতি বছর প্রায় ৩০ হাজার মেট্রিকটন আখ নর্থবেঙ্গল সুগার মিল ক্রয় করে নেয়। এ অঞ্চলে উৎপাদিত বিপুল পরিমাণ আখ পাবনা সুগার মিলে সরবরাহ করা হলে লোকসানের দায় থেকে মিলটি রক্ষা পেয়ে মুনাফা করা সম্ভব হতো।এপ্রিল মাস থেকে বেতন না পেয়ে মিলের শ্রমিক-কর্মচারীরা আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে পরিবারের সদস্যদের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন না। ফলে তারা নিদারূণ দুশ্চিন্তায় দিন যাপন করনে। অবিলম্বে বকেয়া বেতনের দাবি করেছেন তাঁরা।মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ অবিক্রিত চিনির কথা স্বীকার করে জাগো নিউজকে বলেন, এ মিলের চিনির গুণগত মান ভালো হওয়া সত্বেও আমদানি চিনির দাম কম থাকায় দেশি চিনি বিক্রি হচ্ছে না।আলাউদ্দিন আহমেদ/এমজেড/আরআই

Advertisement