‘২০১৯ সালের নির্বাচনে খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ করতে পারবেন না’ তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, ‘খালেদা জিয়া নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন কি পারবেন না, তা নির্বাচন কমিশন দেখবে, ইনু সাহেব নয়।’সোমবার দুপুরে রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। চলমান রাজনীতি নিয়ে বঙ্গবন্ধু একাডেমি ওই সভার আয়োজন করে। সুরঞ্জিত বলেন, নির্বাচনে কে ডিসকোয়ালিফাইট আর কে কোয়ালিফাইট তা সংবিধান, আদালত ও নির্বাচন কমিশনের বিষয়।তিনি বলেন, সংসদে দাঁড়িয়ে যখন একজন মন্ত্রী কথা বলেন তখন সংযত হয়ে কথা বলতে হবে। কারণ সেখানে যখন কোনো মন্ত্রী কথা বলেন তবে তা কেবিনেটের বক্তব্য হয়ে যায়। আর এর প্রতিনিধিত্ব বর্তায় প্রধানমন্ত্রীর উপর। কারণ মন্ত্রিসভাটা শেখ হাসিনার।আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, অপরাধের বিচার করবে আদালত। এটা প্রধানমন্ত্রীর কাজ না। কে নির্বাচন করতে পারবে, কে কোন জেলে থাকবে, এটা আদালতের বিষয়। এটা প্রধানমন্ত্রীর বিষয় নয়। যারা বিপদগামী হয়েছেন তারা তাদের শাস্তি পাবেন ও পাচ্ছেন।সভায় ব্রিটিশ পার্লামেন্টে বাংলাদেশের রাজনীতি প্রসঙ্গে ওঠা বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন সুরঞ্জিত। ওই বিষয়টিকে দৃষ্টিকটু বলেও উল্লেখ করে বাংলাদেশের প্রবীণ এই পার্লামেন্টেরিয়ান বলেন, এক পার্লামেন্ট অন্য পার্লামেন্টের বিষয়ে কথা বলতে পারে না। আমরা এটা তাদের কাছে আশা করিনি। আমাদের অভ্যান্তরীণ সংকট নিয়ে হাউস অব কমন্সে কথা বলা মোটেই বাঞ্ছনীয় নয়। আমাদের নির্বাচন হয়েছে কি হয়নি তা নিয়ে তো আপনারা কথা বলতে পারেন না।তিনি আরো বলেন, হাউস অব কমন্সকে আমরা মাদার পার্লামেন্ট বলি। তাই বলে তো তারা অন্য একটি স্বাধীন সার্বভৌম পার্লামেন্টের উপর তার কর্তৃত্ব প্রকাশ করতে পারে না। তবে যদি আপনাদের কাছে কোনো প্রমাণ থাকে তবে কথা বলতে পারেন।সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা ডা. খন্দকার ইমদাদুল হক সেলিম। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাফর হোসেন পল্টু, সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী, মহানগর জাসদের নেতা হুমায়ুন কবির প্রমুখ।এএসএস/বিএ/এমএস
Advertisement