জালনোট সম্পর্কে ব্যাংক কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ থাকলেও সাধারণ মানুষ এ থেকে বঞ্চিত। তাই সাধারণ মানুষকে জালনোট সম্পর্কে সচেতন করে তোলা জরুরি। আর এ লক্ষ্যে প্রতিটি জেলায় একটি করে প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ। মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনে বাংলাদেশ ব্যাংক ও এফবিসিসিআইয়ের সহযোগিতায় বিপণি বিতানে জালনোট শনাক্তকারী মেশিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. আবুল কাশেম, শুভঙ্কর সাহা, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালকরা। আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, ঈদের আগে বাংলাদেশ ব্যাংকা নতুন নোট বাজারে ছাড়ে। এ সুযোগে বাজারে অসৎ একটি চক্র জালনোট ছড়িয়ে দিচ্ছেন। তা রোধে ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণের সচেতন হওয়া জরুরি। তাই বাংলাদেশ ব্যাংককে সচেতনতা বাড়াতে এগিয়ে আসতে হবে। ঈদের আগে জালনোট শনাক্তকারী কিছু মেশিন হস্তান্তর করা হচ্ছে। যা কিছুটা হলেও জালনোট শনাক্ত করতে সহায়তা করবে। জালনোট মেশিনের মূল্য তুলনামুলকভাবে অনেক কম। তাই সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠা জালনোট শনাক্তকারী মেশিন বসানোর জন্য আহ্বান জানান তিনি। ডেপুটি গভর্নর মো. আবুল কাশেম, বাংলাদেশ ব্যাংক সব জায়গায় সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালাতে পারে না। এক্ষেত্রে এফবিসিসিআই সহযোগিতা করলে দেশের প্রতিটি শপিংমল বাজার ও জালনোট প্রতিরোধে প্রশিক্ষণমূলক কার্যক্রম চালাবে এবং কাজটি আরো সহজ হবে। জালনোট প্রতিরোধে বাংলাদেশ ব্যাংকে তিন মাস অন্তর অন্তর কমিটির অগ্রগতি উপস্থাপন করে। জালনোট শনাক্তকারী যেসব চিন্ত রয়েছে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করে দেশের প্রতিটি মার্কেটের সামনে বিলবোর্ড ও পোস্টার আকারে রাখার আহ্বান জানান ডেপুটি গভর্নর। প্রয়োজনে ঢাকার বাইরে যেসব চেম্বার রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে সচেতনমূলক অনুষ্ঠান করবে। সারাদেশে এমন অনুষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংক করে থাকে। প্রচার ও সচেতনা বাড়ানোর লক্ষ্যে মেশিন বিতরণ করছে। বিনা পয়সায় জালনোট পরীক্ষা করা হয় এমন একটি ব্যানার টানানোর আহ্বান জানানো হয়। ফেসবুক, টুইটারে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর শাহা, এফবিসিসিআইয়ের প্রথম সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন, পরিচালক হেলাল উদ্দিন প্রমুখ। এসআই/বিএ/এমএস
Advertisement